e cap 400 এর কাজ কি - ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়

ভিটামিন ই ক্যাপ এর সাথে মোটামুটি আমরা অনেকেই পরিচিত। আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা ভিটামিন ই ক্যাপ ক্যাপসুল ব্যবহার করেন কিন্তু ই ক্যাপ কি কাজ করে বা ই ক্যাপ খেলে কি হয় সেই বিষয়ে অবগত নয়। অনেকে সময় ভুল ব্যবহারের কারণে আমাদের দেহে খারাপ প্রভাব পড়অতে পারে। মূলত তাদের কথা চিন্তা করেই আজকের পোষ্টে e cap 400 এর কাজ কি এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিব।
e cap 400 এর কাজ কি - ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়
সম্মানিত পাঠক,আপনি যদি ই ক্যাপ সম্পর্কে যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে না থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক উপকার হতে চলেছে। তাই অবহেলা না করে এই পোষ্টটি একেবারে শুরু শেষ পর্যন্ত পড়ুন। আশা করছি, আমরা ভিটামিন ই ক্যাপ ক্যপসুল সম্পর্কে এমন কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করব যেগুলো জেনে আপনারা অবশ্যই উপকৃত হতে পারবেন। তাহলে চলন, কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা আরম্ভ করা যাক।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

উপস্থাপনা - e cap 400

মূলত ই ক্যাপ ক্যাপসুলের এত বেশি উপকারিতা ও গুনাগুন রয়েছে যে এটি ব্যবহারে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা পাওয়া যায়। যেগুলো উপকারিতা গুলো আমাদের দেহের জন্য খুবই জরুরী এবং কার্যকরী। আমাদের মাঝে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা হয়তো জানেন না যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল শরীরের বাহ্যিক অংশে অর্থাৎ মাথার চুলের পুষ্টি গুণাগুণের জন্যেও এটি ব্যবহার হয়ে থাকে।

মূলত তাদের পরিপ্রেক্ষিতেই আজকের আলোচ্য বিষয় চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম, ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়, ই ক্যাপ কখন খেতে হয়, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়, e cap 400 খাওয়ার নিয়ম সহ আরো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ টপিকে সাজানোর চেষ্টা করেছি। তাহলে চলুন, তার মূল্যবান সময়টুকু আর নষ্ট না করে ই ক্যাপ কিসের ওষুধ প্রথমে সেই সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা নেই।

ই ক্যাপ কিসের ঔষধ - e cap 400 bangla

ই ক্যাপ কিসের ঔষধ এটি আমাদের অনেকেরই অজানা। ভিটামিন ই ক্যাপ ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কোম্পানি উৎপাদন ও বাজারজাত করে। যেসব ব্যক্তিদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ঘাটতি রয়েছে তাদের শরীরে এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে সহায়তা করে। এছাড়াও আমাদের শরীরে ভিটামিন এর ঘাটতি দেখা দিলে সেই ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে থাকে।
আবার ত্বকের সৌন্দর্য ও চুল পড়া রোধের জন্য এই ক্যাপসুল বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই ওষুধটি বাহ্যিকভাবেও ব্যবহার করা যায়। তবে ই ক্যাপ চুলে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আপনাকে অবগত থাকতে হবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের ব্যবহারের নিয়ম জানতে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

e cap 400 এর কাজ কি - e cap 400 ki kaj kore

এ পর্যায়ে আমরা জেনে নেব e cap 400 এর কাজ কি? কারন অধিকাংশ মানুষ গুগলের কাছে এই বিষয়ে জানতে চায় বা অনেকেই বিভিন্ন প্লাটফর্মে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। মূলত ভিটামিন ই ক্যাপসুল আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজে আসলেও এর পাশাপাশি এই ক্যাপসুলের বেশ কয়েকটি উপকারী কার্যকারিতা রয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
  • ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা বৃদ্ধি করে
  • চুলের যত্নে সহায়তা করে
  • শরীরের ক্ষতস্থান নিরাময় বা ভালো করতে কাজে আসে
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিরকরণে কাজে আসে
  • শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে
  • বয়সের ছাপ দূর করতে কাজে আসে
  • নখের যত্নে ও হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে
  • বিভিন্ন ঠান্ডা জনিত সমস্যার ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
  • বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়া রোগের ক্ষেত্রে এটি প্রতিরোধ যোগ্য হিসেবে কাজ করে ইত্যাদি।
ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর উপরোক্ত কার্যকারিতা ছাড়াও আরো নানান রকম উপকারী কার্যক্রম রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরী। আশা করছি e cap 400 এর কাজ কি সেই সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে উপরের অংশ হতে জানতে সক্ষম হয়েছেন। এবার চলুন, ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় সেই সম্পর্কেও জেনে নেই।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয়

বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরেও যদি ভিটামিন ই এর অভাব পূরণ না হয় তাহলে নিয়মিত একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। কেননা একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের মধ্যে অনেক উপকারিতা লুকিয়ে থাকে। তাই আপনি চাইলে এই ক্যাপসুলকে, ত্বক, চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন।

নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার অভ্যাস আপনার জীবনকে পরিবর্তনের দিকে ঠেলে দিতে পারে। কেননা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের শরীরে ভিটামিন ই এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। আপনি কি জানেন নিয়মিত ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কী হয়? আসুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
  • হাড় মজবুত ও হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা রোধ করে
  • বন্ধত্বের সমস্যা নিরাময়ে এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে এবং বয়সকে ধরে রাখতে কাজ করে
  • শরীরের বিভিন্ন টান পড়া ত্বক, বলিরেখা ও অন্যান্য দাগ দূর করতেও এটি সহায়তা করে থাকে
  • ই ক্যাপ নিয়মিত খেলে ত্বকে সানবার্ন খুবই কম হয়
  • ভিটামিন ই ক্যাপ চুল পড়া রোধ করে। এমনকি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে
  • নিয়মিত ই ক্যাপ খেলে দেহের কোষগুলো অনেক আস্তে আস্তে ক্ষয় হয়; যা আপনাকে অন্যদের তুলনায় বেশি সুন্দর দেখাবে।
  • ই ক্যাপ কিডনির সমস্যা ও হৃদরোগের আশঙ্কা কমাতে সহায়তা করে।
  • এমনকি ভিটামিন ই ক্যাপ চর্মরোগ ও অ্যালঝাইমার্স রোগ দূর করতেও দারুণ কাজ করে ইত্যাদি।
তবে শুধু উপকারিতার কথা ভাবলে হবে না কারণ আপনি যদি এর গুণ সম্পর্কে জেনে দীর্ঘদিন ধরে ইক্যাপ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন তাহলে প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়ার কারণ হতে পারে। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ও তার দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী খাবেন।

তবে একটা বিষয় মনে রাখাটা জরুরী সেটা হচ্ছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবন বন্ধ করলেও আপনি বাহ্যিকভাবে ত্বকের যত্ন অথবা রূপচর্চার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এতে কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আশা করছি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় তা জানতে পেরেছেন। এবার আসুন ই ক্যাপসুল খাওয়ার কিংবা ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিই।

e cap 400 খাওয়ার নিয়ম - ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম

আমাদের মাঝে এমন অনেকে আছেন যারা ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবনের সঠিক নিয়ম জানা নেই। আপনি যদি ই ক্যাপসুল সেবনে ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেবনের সঠিক নিয়ম জানতে হবে। চলুন তাহলে আমরা নিচের অংশ থেকে বিভিন্ন ই ক্যাপ এর নিয়মাবলী জেনে নেই।
  • ই-ক্যাপ ২০০ এর ক্ষেত্রে সকালে ও রাতে অবশ্যই ভরা পেটে দিনে ১টি করে ক্যাপসুল খেতে হয়।
  • ই-ক্যাপ ৪০০ এর ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে নাস্তা খাওয়ার পরে ১টি করে ক্যাপসুল খেতে হয়।
  • ই-ক্যাপ ৬০০ এর ক্ষেত্রে এটিও প্রতিদিন সকালে ও রাতে ভরা পেটে ১টি ক্যাপসুল খেতে হয়।
  • তবে এই ওষুধ দীর্ঘ সময় ধরে অর্থাৎ কমপক্ষে এক থেকে তিন মাস পর্যন্ত খেতে হয় ইত্যাদি।
মূলত ই ক্যাপ বিভিন্ন ওষুধের ক্ষেত্রে উপরোক্ত নিয়মেই ওষুধ সেবন করতে হয়। যদিও আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। আমি শুধু আপনাকে সেবনের নিয়ম জানালাম। আপনার শরীরের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে কোন মাত্রার ওষুধ খেতে হবে সেটি তো একমাত্র ডাক্তারগনই বলতে পারবেন। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

চুলে ই ক্যাপসুল ব্যবহার করলে কী হয়

চুল আমাদের দেহের এমন এক অভিমানী অংশ, যার যত্ন ভালোভাবে না নিলে অনেক বিশ্রী রূপ ধারণ করে। এর পাশাপাশি রুক্ষ, শুষ্ক আর মলিন তো রয়েছেই। আর কিছু না হোক, আপনি যদি নিয়মিত তেল ব্যবহার না করেন, তাহলে আপনার চুল সৌন্দর্য তো হারাবেই। অপরদিকে চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে মোটকথা আপনার পুরো সৌন্দর্যে বারোটা বেজে যাবে। তবে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের সৌন্দর্য ফিরে পেতে অনেক বেশি সহায়তা করতে পারে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলে কেন ব্যবহার করবেন

প্রতিটা জিনিস কিংবা ওষুধ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ব্যবহারের উপকারিতা গুলো সঠিকভাবে জেনে নিয়ে তবেই ব্যবহার করুন। এতে একটা বিষয় নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটি ব্যবহারের কোন প্রয়োজন আছে কি নাকি নেই।

ভিটামিন ই ক্যাপসুলে বিদ্যমান অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মাথার স্কাল্পের জন্য অতি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে। যা চুলের বৃদ্ধিতে বেশ উপকারে আসে। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ চুল পড়া সমস্যায় ভুগছেন তারা চাইলে অতিরিক্ত চুল পড়া রোধ করতে এই ভিটামিন ক্যাপসুল কে বেছে নিতে পারেন।

চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম

বিভিন্ন ফার্মেসি থেকেই পেয়ে যাবেন এই ক্যাপসুল। আপনার যদি লম্বা চুল বেশি লম্বা হয়ে থাকে ৭-৮টি ক্যাপসুল লাগবে। ছোট চুল হলে ৪-৫ টা ক্যাপসুল হলেই হয়েই যাবে। চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম হচ্ছে-

প্রথমে একটি বাটিতে ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে নিতে হবে। এরপর নারিকেল তেল ২ চা চামচ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার দ্রবণে ক্যাস্টর অয়েল ২ চা চামচ মেশাতে হবে। এভাবে মোট ৩টি উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে কমপক্ষে ৫ মিনিটের মতো রেখে দিন। 

একটি আরেকটি বাটিতে পানি গরম করে সেই গরম পানির মধ্যে উপকরণগুলো মিশিয়ে ৩ থেকে ৪ মিনিট মতো নাড়তে থাকুন। এরপর একটি বোতলে সংরক্ষন করে থাকুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ায়র আগে এই তেলটি ভালো করে মাথায় ম্যাসাজ করে নিতে হবে।

এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এভাবে অবশ্যই সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহার করুন। আপনি যদি নিয়মিত ১-২ মাস সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে আপনার চুলের যাবতীয় যত সমস্যা রয়েছে সব কমে যাবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো

এ পর্যায়ে প্রশ্ন হচ্ছে ভিটামিন ই ক্যাপসুল কোনটা ভালো? ভিটামিন ই ক্যাপসুল সবগুলাই ভালো। তবে আপনার রোগ বা শরীরের উপর ভিত্তি করে এটি নির্বাচন করতে হবে। কারণ যখন আপনি আপনার শরীরে কিসের অভাব রয়েছে তার ওপর নির্ভর করে ভিটামিন ই ক্যাপসুল সেবন করা উত্তম।

তবে আমাদের বাংলাদেশে যতগুলো ইক্যাপসুল রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ই ক্যাপ ক্যাপসুল হচ্ছে গুলো হলো ই-ক্যাপ ৪০০, ই-ভিট, ই-জেল ইত্যাদি। আপনি চাইলে এই ক্যাপসুল গুলি স্বাভাবিক পর্যায়ে ব্যবহার করতে পারেন তবে অবশ্যই একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয়

সাধারণত ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে তেমন ক্ষতির প্রভাব দেখা দেয় না। তবে প্রতিটা ওষুধেরই একটি নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে যদি অতিরিক্ত মাত্রায় বা অত্যাধিক পরিমাণে ই ক্যাপ সেবন করেন তাহলে আমাশয় ও এলার্জি জনিত প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আবার অতিমাত্রায় এই ওষুধ সেবনের ফলে ওজনও বেড়ে যেতে পারে।
যাদের ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কিডনি এবং লিভারজনিত সমস্যা রয়েছে কিংবা হার্টে সমস্যা আছে তাদেরও হার্টের ক্ষতি হতে পারে এজন্য তাদেরকে অবশ্যই একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ওষুধ সেবন করতে হবে। আশা করছি ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ক্ষতি হয় সেটি জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, ই ক্যাপ কখন খেতে হয় সেটি জেনে নেই।

ই ক্যাপ কখন খেতে হয়

আমাদের মাঝে বেশিরভাগ মানুষেরই একটি কমন প্রশ্ন সেটি হচ্ছে ই ক্যাপ কখন খেতে হয়? সাধারণত ই ক্যাপ আপনি যেকোনো সময় হালকা নাস্তা খাবার খেয়ে সেবন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি ই ক্যাপ খেয়ে ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে তাহলে অবশ্যই সন্ধ্যার দিকে হালকা পাতলা নাস্তা খাবার খাওয়ার পরে ই ক্যাপ 400 সেবন করতে পারেন।

এভাবে নিয়মিত খেলে আপনার সমস্যার দ্রুত উন্নতি হবে ববে আশাবাদী। তবে হ্যাঁ উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে এই ওষুধটি অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ বা নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিংবা তার দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে সেবন করতে হবে তবেই আপনি ভালো ফলাফল পাবেন। আশা করছি আপনার প্রশ্নের উত্তর জানতে সক্ষম হয়েছেন।

ই ক্যাপ 400 এর দাম কত

ই ক্যাপ 400 এর দাম সম্পর্কে জানতে অনেকেই বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। আপনি যদি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে আমাদের ওয়েবসাইটে এসে থাকেন তাহলে একেবারে সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। কেননা ই ক্যাপ 400 এর দাম কত বর্তমান বাজার মূল্য সম্পর্কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ই ক্যাপ এর চাহিদা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।

তাই এই ক্যাপসুল ব্যবহারের ক্ষেত্রে দাম টাও জেনে রাখা জরুরি। তাহলে, আপনি যখন বিভিন্ন সুপার শপ বা ফার্মেসিতে ক্রয় করতে যাবেন সেক্ষেত্রে কোনরকম বিভ্রান্তিতে পড়বেন না। ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর প্রতি পিচ মূল্য হচ্ছে ৭ টাকা। এছাড়াও ই ক্যাপ 200 IU এর প্রতি পিচ দাম হচ্ছে ৫ টাকা। আবার ই ক্যাপ 600 IU এর প্রতি পিচের দাম ৮ টাকা।

লেখকের শেষ মন্তব্য

প্রিয় পাঠক, আজকের এই আর্টিকেলের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। প্রতিটা ট্যাবলেট বা ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চিকিৎসকের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করলে অবশ্যই এর ফলাফল ভালো পাওয়া যায়। আপনি যদি উল্লেখিত ই ক্যাপ ওষুধ সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে না পারেন, তাহলে পুনারায় পুরো পোস্টটি পুনরায় পড়ার অনুরোধ রইল। তাহলে আশা করছি এই ওষুধ নিয়ে আপনার মনে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।

আমরা ইতিমধ্যে e cap 400 এর কাজ কি ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় এবং ই ক্যাপ সম্পর্কিত আরো অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি, আপনারা জেনে উপকৃত হয়েছেন। আপনি যদি সম্পূর্ণ পোষ্টে কোন বিষয়ে বুঝতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। তাহলে আমরা আপনাকে সঠিক তথ্য জানিয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

ই ক্যাপ ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার প্রিয়জনদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। এতে তারাও ই ক্যাপ ক্যাপসুল সম্পর্কে বিস্তারিত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও মেডিসিন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url