পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার উপায় জানুন

আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার উপায় জানতে চায় কিন্তু কিভাবে সর্বশেষ অবস্থা জানা যায় সেই সম্পর্কে হয়তো জানেন না। এজন্য আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাজানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনারা জেনে উপকৃত হতে পারবেন।
পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার উপায়

সম্মানিত পাঠক, আপনি কি ২০২৪ সালের আপডেট অনুযায়ী পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার উপায় সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক? তাহলে আজকের এই পোষ্টটি আপনার জন্য। কারন আমরা  এই সম্পর্কে আপনাকে এমন কিছু তথ্য জানানোর চেষ্টা করবো যার মাধ্যমে আপনি সঠিকভাবে পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

উপস্থাপনা

এখন অনেকেই পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার জানার জন্য গুগলের কাছে জানতে বা সার্চ করে থাকেন এজন্য আমরা শুধুমাত্র আপনাদের সুবিধার্থে আজকের পোষ্টে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

আপনি যদি কিছুক্ষন সময় অপচয় করে আমাদের সাথে শেষ অবদি থাকেন, তাহলে এই বিষয়ে জেনে নেওয়ার পাশাপাশি মিটার পেতে দেরি হলে করণীয় কি, পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন, পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার নিয়ম সহ এ সম্পর্কে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জানতে পারবেন।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কি?

বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দ্যেগে শহর অঞ্চল থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত বিদ্যুৎ এর বিস্তৃত রয়েছে। এখন প্রায় সব স্থানেই বিদ্যুতায়িত সম্ভব হয়েছে। আর এই কঠিন কাজটি সম্পূর্ণ হয়েছে একমাত্র পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাহায্যে।

এর কারণ হচ্ছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মূল কাজ হল, ভোক্তা সমবায় হিসেবে কাজ করে গ্রামীণ বৈদ্যুতিক সংযোগ দ্রুত প্রসারে সম্প্রসারণ করা। আর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (Bangladesh Power Development Board) শহর এলাকায় বৈদ্যুতিক বিতরণ এর কাজে পরিচালনা করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবেও বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে থাকে।

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কয়টি ও কি কি?

বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনীতি বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিদ্যুতের চাহিদাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে দুঃখজনক হলেও বিষয়টি সত্য যে, বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। সরকারের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ১৫৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৫০টি কেন্দ্রই পূর্ণ সক্ষমতায় চলছে।

আর বাকি ১০৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৩টি জ্বালানির অভাবে বন্ধ রয়েছে। বন্ধ থাকা কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা হচ্ছে মোটামুটি ৪ হাজার ৯৩০ মেগাওয়াট। আর এই কারণেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। আর ফলে গ্রীষ্মকালে বা গরমকালে লোডশেডিং এর সমস্যা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নতুন মিটারের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে যেসব লাগে

মিটার আবেদন অনুসন্ধান করার পূর্বে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ফরম পূরণ করার প্রয়োজন পড়বে। এজন্য  পোস্টের এই অংশে আমরা আবেদন ফরম পূরণ করার সম্পর্কে আমরা এই অংশে বিস্তারিত আলোচনা করব। আর এর জন্য আপনাকে সঠিকভাবে ফরমটি পূরণ করাটা জরুরি। চলুন তাহলে বেশি কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক।
  • প্রথমে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনের জন্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
  • আবেদন ফর্মে আপনার ছবি (PP) ও জাতীয় পরিচয় পত্র (NID) এবং বাড়ির জমির খারিজের স্ক্যান কপি করে নিয়ে আপলোড করতে হবে।
  • মিটার সংযোগস্থল হতে বৈদ্যুতিক খুটির দূরত্ব কম্পক্ষে ১৩০ মিটার হতে হবে।
  • এরপর সার্ভিস ড্রপের দূরত্ব ঠিক ভাবে সংযোগ করতে হবে। তা নাহলে দৈর্ঘ্য কম=বেশি গেলে মিটারের সংযোগ পেতে আরো বেশি সময় লাগতে পারে।
  • আবেদন করার সময় ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল নাম্বার ও নাম দিতে হবে।
  • আবেদনকৃত ব্যক্তির এনাইডি নাম্বার ও তার নিজের স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে।
  • এরপর যেখানে মিটারের সংযোগ নিবেন সেই জায়গার জমির মালিকানা সহ আরো অন্যেন্য যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।
  • এসব ডকুমেন্টস ক্লিয়ার স্ক্যান করে ফরমেট আপলোড করতে হবে। 
  • এ সকল কিছু তথ্য পূরণ করার পরে ফর্মের আবেদন শেষে সাবমিট নামক অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • সাবমিটে ক্লিক করা হয়ে গেলে পরে একটি পিডিএফ (PDF) ফাইল দেওয়া হবে। সেই পিডিএফ ফাইলটি হার্ডকপি প্রিন্ট করে রাখতে হবে।
  • পরিশেষে হাউজ ওয়ারিং নিশ্চিত করার জন্য আবেদন এর সেকশনে হাউস ওয়ারিং অপশনে ক্লিক করতে হবে। অপশনটিতে প্রবেশ করার পরে সেখানে আপনার ট্র্যাকিং নাম্বার (Tracking Number) ও পিন নাম্বার (Pin Number) দিয়ে লগইন করে সাবমিট (Submit) করুন।
  • এরপরে সবশেষে আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি পেমেন্ট প্রদান করতে হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করতে হলে উক্ত দেওয়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো মাথায় রেখে আবেদন করতে হবে। তাহলে আশা করছি এখন নিশচই বুঝতে পারছেন আবেদন করতে হলে কি কি প্রয়োজন হয়।

পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার উপায়

আপনারা অনেকেই হয়তো পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন। এজন্য আমরা পোষ্টের এই অংশের মাধ্যমে আপনাদের আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানাব।

সর্বপ্রথম আপনাকে গুগলে "www.rebpbs.com" লিখে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর খেয়াল করলে দেখতে পাবেন আপনার স্ক্রিনে একটি আবেদন অনুসন্ধান ফরম আসবে। তারপর আপনাকে আবেদনের আইডি নম্বর ও পিন নম্বর  লিখে "সাবমিট করুন" অপশনে ক্লিক করে দিতে হবে।

মূলত এখানে আবেদন আইডি বলতে ট্রাকিং নাম্বার বলা হচ্ছে যা নিচের ছবিতে দেখলে বুঝতে পারবেন।
সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পর কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পরে (মানে যতক্ষন লোড নিবে) খেয়াল করবেন আপনার আবেদন সম্পর্কিত সকল যাবতীয় তথ্য দেখাচ্ছে।

সাধারনত এ তথ্য দেখেই নিশ্চিত হওয়া যায় যে অনলাইনে আবেদনটি গ্রহণযোগ্য হয়েছে কিনা। এছাড়াও আপনার মিটার কবে কোন তারিখে আসবে সে সকল তথ্যও জেনে নিতে পারবেন। তবে কোন তথ্য যদি না দেখাই তাহলে বুঝতে হবে আপনার ট্রাকিং নম্বর এ ভুল হয়েছে।

আবার সর্বশেষে যদি সকল তথ্য ঠিক থেকেও কোন তথ্য না দেওয়া থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার মিটারের জন্য আবেদনটি গ্রহণযোগ্য করেনি কিংবা আরও বেশ কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। আর যদি কোন কারণে আপনার আবেদনটি বাতিল করে দেওয়া হয় তাহলে আপনাকে আবারও আবেদন করতে হবে নতুবা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

মিটার পেতে দেরি হলে করণীয়

অনেকেরই নতুন মিটারের জন্য আবেদন করার পরে মিটারের প্রসেসিং হতে দেরি হয়। তাই তাদের জন্য বেশ কিছু কার্যকরী করণীয় রয়েছে। তার সাহায্যে জানা যাবে যে কি কারণে মিটার পেতে দেরি হচ্ছে। আসুন তাহলে পোষ্টের এই অংশে মিটার পেতে দেরি হলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে জেনে নিই।
  • প্রথম নতুন মিটারের আবেদনের বর্তমান অবস্থা চেক-আউট করে নিতে হবে।
  • কিছু কিছু সময়ে দেখা যায় মিটার আবেদন সঠিকভাবে কার্যক্রম শেষ হওয়ার সত্বেও কিছু সমস্যার কারণে বিদ্যৎ অফিসে সেই মিটারের জন্য পরিশোধকৃত আবেদনের ফি গ্রহণ হয় না। তাই আপনাকে এই বিষয়টিও ভালোভাবে চেক আউট করে নিতে হবে।
  • এ ধরণের সমস্যার দেখা দিলে সরাসরি বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করতে হবে কারণ অনেক সময়ে বিদ্যুৎ অফিসে সঠিক সময়ে যোগাযোগ না করার ফলেও নতুন মিটার আসতে দেরি হয়। সুতরাং এই বিষয়টিও আপনাকে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
  • আপনার নতুন মিটারের জন্য আবেদন পত্রটির অনলাইন কপি প্রিন্ট করে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বিষয়টা তাদের কাছে ভালোমত অবগত করতে হবে। তাহলেই আপনার নতুন মিটার যলদি পেয়ে যাবেন।
তাই বলা যায় কেউ যদি নতুন মিটার আবেদন পরিপূর্ণভাবে করার পরে মিটার পেতে খুব বেশি দেরি হয়  তাহলে উপরের উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে। আশা করছি এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন

সাধারণত ক্ষেত্রে মিটার পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু আপনার মিটারে যখন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে তখন আপনাকে অবশ্যই মিটার পরিবর্তন করতে হবে। নষ্ট মিটার পরিবর্তন করার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে কিভাবে আবেদন করবেন তা নিচে উল্লেখ করা হলো। 
বরাবর 
পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ
পল্লী বিদ্যুতের ঠিকানা এখানে লিখুন
বিষয়ঃ মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন
মিটার নংঃ ……..
কনজিউমার নংঃ …….. 
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে আমি অত্যান্ত দুঃখ প্রকাশ করে জানাচ্ছি যে আমার বাড়ির ব্যবহারকৃত মিটারটি প্রায় ৩ মাসের বেশি সময় ঠিকভাবে কাজ করিতেছে না। এছাড়াও মিটার থেকে রিডিং নেয়া সম্ভব হয় না। যার ফলে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাগণ ধারণা করে রিডিং গ্রহণ করছে। যেটা একদমই ঠিক হচ্ছে না। এছাড়াও মিটারের সাথে আরো বিভিন্ন ধরণের সমস্যা রয়েছে যে কারণে আমার মনে হয় এই মিটারটি এখন পরিবর্তন করা খুবই জরুরি।।

অতএব, মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন আমার মিটার পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনায় করে যত দ্রুত সম্ভব পরিবর্তন করে আরেকটি নতুন মিটার সংযোগ করে দিলে খুব ভালো হবে। তাই আমি আশা করছি আমার আবেদনটি আপনারা দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন।
বিনীত নিবেদন
আপনার নাম লিখুন
মোবাইল নাম্বারঃ
তারিখঃ 

অনলাইনে মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন

অফলাইনে নতুন মিটারের জন্য আবেদন করে জমা দিয়ে আসার মত অবস্থা না থাকলে আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে ফরম পূরণ করে “পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন” করতে পারবেন। এজন্য প্রথমে আপনাকে পল্লী বিদ্যুতের www.rebpbs.com এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে।

এরপর উপরের মেন্যু অপশন থেকে নতুর মিটার বা পুরাতন মিটার পরিবর্তন করা নামক একটি অপশন রয়েছে সেই অপশনে ক্লিক করতে হবে। উক্ত অপশনে প্রবেশ করার পরে মিটার পরিবর্তন নামক একটি পেজে দেখতে পাবেন।

এবার সেখানে মিটার পরিবর্তনের জন্য আপনাকে একটি আবেদন ফরম পূরণ করতে বলা হবে। যেখানে আপনার নাম, মোবাইল নাম্বার, এনআইডি, কনজিউমার নাম্বার এবং মিটার নাম্বার দিতে হবে।

তারপরে আপনার মিটারে কি ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে কিংবা আপনি কি কারণে মিটার পরিবর্তন করবেন সেটার বর্ণানা দিয়ে নিচের সাবমিট অপশনে ক্লিক করলেই আপনার আবেদনটি সাবমিট হয়ে যাবে। তারপরে আপনি যেই নাম্বার ফর্মে দিয়েছেন সেই নাম্বারে ঠিক কনফারমেশন এসএমএস চলে আসবে।

নতুন পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পাওয়ার শর্তবলী

নতুন মিটার পেতে হলে মূলত কিছু প্রাথমিক শর্ত অনুসরণ সকলকেই করতে হবে। এই শর্তগুলো স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে। তবে, কিছু সাধারণ পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পাওয়ার শর্তাবলী নিম্নলিখিত হতে পারে:

স্থানের মালিকানা নিশ্চিতভাবে স্বীকৃত হওয়া: মিটার বসানোর আগে, স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আপনার স্থানের মালিকানা নিশ্চিত করা হবে।

কানেকশনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: মিটার ইনস্টলেশনের পূর্বে আপনাকে স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারীর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে, যেমনঃ কার বিল, আইডি প্রুফ, আবাসিক সনদ ইত্যাদি।

কানেকশন ফি প্রদান: অনেক সময় মিটার কানেকশন স্থানান্তর ৫০০ টাকা বাবদ ফি প্রদান করতে হতে পারে। পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন করার ক্ষেত্রে মাত্র ১১৫ টাকা ফি জমা করতে হয়।

সেটিংস অ্যান্ড ইন্সপেকশন: মিটার ইনস্টলেশনের পরে নিরীক্ষণ প্রক্রিয়া ও মিটার সেটিংস সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।

বিদ্যুৎ বিলের সংক্ষেপ করা: আপনার বিদ্যুৎ মিটারের পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল হিসেবে সংক্ষেপে প্রদান করা হয়। এসব শর্তাবলী পূরণ করার পরে, আপনি পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পাওয়ার অধিকারী হবেন। এই প্রক্রিয়াটি প্রতিটি সরবরাহকারী সংস্থার নীতিমালার অনুসারে পরিচালিত হয়ে থাকে।

পল্লী বিদ্যুৎ কি সরকারি না বেসরকারি?

গ্রাম বাংলার বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয় আসলেই মনে পড়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর কথা। অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে এই প্রতিষ্ঠানটি কি সরকারি নাকি বেসরকারি। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (PBS) বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। যা ১৯৭২ সালে এই সমিতি এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

পল্লী বিদ্যুতের কাজ হচ্ছে গ্রামীণ জনগণের নিকট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। দেশের শতকরা ৯৮% গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে এই প্রতিষ্ঠানটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমান তথ্য অনুযায়ী পল্লী বিদ্যুতের মোট ৮০ টি সমিতি ও ৪ কোটিরও অধিক গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

বিদ্যুৎ মিটারের ডিসপ্লে ফাঁকা থাকে কেন

বিদ্যুৎ মিটারের ডিসপ্লে ফাঁকা থাকাটা খুবই সাধারন একটা সমস্যা। কারণ, বিভিন্ন সময় কিছু কিছু মিটারের ডিসপ্লের দিকে তাকালে দেখা যায় সেটি একবারে ফাঁকা হয়ে গেছে। যদিও সেই মিটারের ডিসপ্লে কিন্তু ফাঁকা থাকেনা। কিছু কারণ রয়েছে, যার জন্য আমরা মিটারের ডিসপ্লে ফাঁকা দেখি।

যেমন, এমনটা হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে বলা যায় মিটার দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হলে সেই মিটারের যদি শক্তি হারিয়ে যায় তাহলে সেই মিটার আগের মতো কাজ করতে সক্ষম হবে না। আবার কিছু কিছু সময় মিটার স্লিপিং মোডে চলে যায়। এর কারণে মিটার গুলোর মধ্যে ডিসপ্লে ফাঁকা দেখা যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে মিটার এর সেটিংস ঠিকভাবে অপটিমাইজ না হলেও এমনটা হতে পারে।

তাই আপনি যদি কখনও মিটারের এই ধরনের সমস্যা লক্ষণ করেন তাহলে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দেখাতে হবে কিংবা বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। তারপর তারা যাচাই বাচাই করে মিটারের মূল সমস্যাটি শনাক্ত করে সমাধান করে দিবেন। আশা করছি, এই বিষয়টি সম্পর্কে ক্লিয়ার হতে পেরেছেন।

বাংলাদেশের কত শতাংশ এলাকা বিদ্যুতায়িত হয়েছে?

আলোকিত বাংলার একটি শ্লোগান রয়েছে সেটি হচ্ছে বিদ্যু কেবল একটি স্বপ্ন নয়, বরং এটি বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় সংকল্প। আমাদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক দশকে বিদ্যুৎ  বিতরণ ও উৎপাদন ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

বর্তমান প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান অনুসারে, বাংলাদেশের ৯৯% অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামীণ জনগণের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বেশ ভালো নজরদারী করে আসছে।

বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সব অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। যেসব অঞ্চলে এখনও বিদ্যুৎতায়িত হয়নি সেগুলো অঞ্চলে দ্রুততম সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য কাজ চলমান রয়েছে। নবায়নযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগ দিন দিন বৃদ্ধি করা হচ্ছে, যা বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করছে।

লেখকের শেষ মন্তব্যঃ পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা

প্রিয় পাঠক আমরা ইতিমধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার উপায় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি, আপনারা ভালোমতো জেনে নিতে পেরেছেন। আপনি যদি এই পোষ্টের কোনো অংশ বুঝেতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। তাহলে আমরা সেই অনুযায়ী আপনাকে সঠিক তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

পল্লী বিদ্যুৎ আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধু কিংবা প্রিয়জনদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। এতে তারাও এই সম্পর্কে বিস্তারিত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি সেবা ও সমকালীন জরুরি তথ্য সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url