বিদেশ থেকে সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন যেভাবে ২০২৪

প্রিয় পাঠকবৃন্দ, সকলকে আমার ওয়েবসাইটে স্বাগতম। আজকে কি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সেটা হচ্ছে বিদেশ থেকে সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন যেভাবে। যারা প্রবাসে অবস্থান করছেন তারা তাদের অর্থ উপার্জন করা টাকা গুলো খুব সহজে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন। আশা করি বিদেশ থেকে সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন যেভাবে এটি জেনে আপনি উপকৃত হবেন।
বিদেশ থেকে সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন যেভাবে
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকেন, তাহলে বিদেশ থেকে সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন যেভাবে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক

ভূমিকা

নিজের আপন জনের সুখের কথা চিন্তা করে, নিজের চাহিদা ও স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ অর্থ উপার্জনের জন্য বিদেশে পাড়ি দেয়। সাধারণত বিদেশে কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক অনেক বেশি পাওয়া যায় বিধায় মানুষ তার পরিবার এবং নিজের আর্থিক চাহিদা পূরণ বিদেশে যেয়ে থাকেন। এখন বিদেশ হয়ে উঠেছে মানুষের স্বপ্ন পূরণের একমাত্র কেন্দ্র।

বিদেশ থেকে সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংকে আপনার উপার্জন করা টাকা পাঠানো যায়। আপনি যদি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতে চান, আর যদি বিদেশ থেকে সহজেই ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন যেভাবে এটি জেনে না থাকেন তাহলে এই সম্পূর্ণ পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা এই পোস্টের মধ্যে বিদেশ থেকে সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন যেভাবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

দৈনন্দিন জীবনকে উৎফুল্ল করতে বা তাদের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ বিদেশে টাকা উপার্জনের উদ্দেশ্যে যায়। বিদেশে অর্থ উপার্জনের টাকা এখন খুব সহজেই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানো যাবে। আজকে আমরা জানাবো খুব সহজে বিদেশের যে কোন দেশ থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন যেভাবে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক কি

বিদেশ থেকে সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন যেভাবে এই বিষয়ে জেনে নেওয়ার পূর্বে চলুন ডাচ-বাংলা ব্যাংক সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। ডাচ বাংলা ব্যাংক (DBBL) হচ্ছে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের যৌথভাবে উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি ব্যাংক। ডাচ বাংলা  ব্যাংকিং হিসেবে সেবা দেওয়ার জন্য ১৯৯১ সালে কোম্পানি আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।

ডাচ বাংলা ব্যাংক পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয় ১৯৯৪ সালে। ডাচ বাংলা ব্যাংক (DBBL) ১৯৯৬ সালের ৩ জুন এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেই ব্যাংকটি ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-এ নিবন্ধিত হয়। বর্তমানে পুরো দেশে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রায় ৪৭৭৫ এর অধিক এটিএম বুথ রয়েছে।

তাছাড়াও ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ১১ টি ফাস্ট ট্র্যাক এবং ৪৬৫ এজেন্ট ব্যাংকিং অফিস রয়েছে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের বর্তমান শাখার সংখ্যা হচ্ছে ২১০ টি। বাংলাদেশ ডাচ-বাংলা ব্যাংক ২০১১ সালের ৩১ শে মার্চ সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং "ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংক" হিসেবে চালু করে।

ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংক এখন বর্তমানে রকেট নামে পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে রকেটের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি। ডাচ বাংলা ব্যাংক এখন জনবহুল ব্যাংকিং হিসেবে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর গরিব ও মেধাবীব শিক্ষার্থীদের কে ১০০ কোটিরও বেশি মেধাবৃত্তি প্রদান করে থাকে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার

ডাচ বাংলা ব্যাংকে আপনি যদি কোনো অ্যাকাউন্ট করতে চান তাহলে আপনি দুই রকমের অ্যাকাউন্ট এর সুযোগ সুবিধা পাবেন।

স্টুডেন্ট একাউন্ট: সাধারণত আপনি একজন ছাত্র হিসেবে যদি স্টুডেন্টের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদনের ক্ষেত্রে ডাচ-বাংলার একাউন্ট করতে চান তাহলে আপনি স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে পারেন।

সেভিংস অ্যাকাউন্ট: সেভিংস অ্যাকাউন্ট হচ্ছে আপনি যদি আপনার ব্যবসায়িক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে ডাচ বাংলা ব্যাংকে বিভিন্ন সুবিধা উপভোগ করার জন্য  সেভিংস একাউন্ট তৈরি করতে পারেন।

বিদেশ থেকে টাকা কত সময় লাগে

বিদেশ থেকে টাকা আসতে কত সময় লাগে এটি নির্ভর করবে যে ব্যক্তি বিদেশ থেকে টাকা পাঠাচ্ছেন তিনি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পাঠাচ্ছেন নাকি শুধু ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে টাকা পাঠাচ্ছেন। যদি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পাঠায় তাহলে সাথে সাথে টাকা চলে আসবে। অপরদিকে ব্যাংকিং সিস্টেমের মাধ্যমে টাকা পাঠালে তা আস্তে একদিন বা কিছুদিন সময় লাগতে পারে।

বিদেশ থেকে ব্যাংকে টাকা পাঠানোর খরচ কত

সাধারণত, বিদেশ থেকে যদি সরাসরি কোন ব্যাংকে টাকা পাঠানো হয় সে ক্ষেত্রে তেমন খরচ হয় না। কিন্তু বিদেশে অবস্থানরত মানি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে টাকা পাঠাবেন সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট চার্জ কর্তন করা হয়। আশা করি এ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা

বিদেশ থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সুবিধা অনেকেই রয়েছে। সাধারণত প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ টাকা উপার্জনের বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যায়। প্রবাসে গিয়ে অনেক পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করে তারা দেশে থাকা প্রিয়জনদের টাকা পাঠায়। প্রবাসী তাদেরকেই বলা হয় যারা অর্থ উপার্জনের জন্য বিদেশে যায় এবং প্রবাসীরা যখন বৈধভাবে তাদের নিজস্ব দেশে টাকা পাঠায় তখন সেটাকে বলা হয় রেমিটেন্স।

প্রবাসীদের বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর সবচেয়ে মাধ্যম হচ্ছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। প্রবাসীরা বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে অনেক অবদান রাখে এই রেমিটেন্স পাওয়ার মাধ্যমে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীরা প্রিয়জনদেরকে খুব সহজে তাদের কষ্ট করে উপার্জন করা অর্থ পাঠাতে পারবে। কেননা বিদেশ থেকে প্রিয়জনদের বৈধভাবে সহজে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানো যায়।

বিদেশ থেকে সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন যেভাবে ২০২৪

বর্তমানে যে কেউ চাইলে নিরাপদে বিদেশ থেকে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারবে। আপনি যদি এখন বিদেশে অবস্থানরত অবস্থায় থাকেন এবং আপনি দেশের ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে চান তাহলে নিম্নে দেওয়া প্রতিটি ধাপ অনুসরণ করুন-
  • প্রথমত আপনাকে অবশ্যই ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
  • এরপর ডাচ বাংলা ব্যাংক অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ হাউসে যেতে হবে।
  • তারপরে সেখানে আপনি আপনার টাকা জমা দিবেন এবং তাদের দেওয়া কেওয়াইসি ফরম পূরণ করতে হবে।
  • কেওয়াইসি ফর্ম বলতে এতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন আপনার পাসপোর্ট বা ভিসা পারমিট তথ্য এবং যে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে চান সে ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য যেমন ব্যাংকের নাম ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নাম্বার ব্যাংক লোকেশন ইত্যাদি।
  • এরপর একটি কনফার্মেশন এসএমএস পাবেন, সেখানে উল্লেখ করা থাকবে আপনার টাকা সঠিকভাবে পাঠানো হয়েছে।
  • এরপর আপনার প্রিয়জন অর্থাৎ যার কাছে টাকা পাঠিয়েছেন তার কাছে কল দিয়ে শুনে নিবেন যে টাকা সে পেয়েছি কিনা।
  • যদি সে ব্যক্তি টাকা পেয়ে থাকে তাহলে এটিএম বুথ অথবা বাংলাদেশের যে কোন ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে সে টাকা খুব সহজে তুলে নিতে পারবে।
উপরোক্ত পদ্ধতি অনুযায়ী বিদেশে অবস্থানরত অনুগত ডাচ বাংলা ব্যাংক মানে এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে খুব সহজে  দেশে বা আপনার প্রিয়জনকে কষ্ট করে উপার্জন করা অর্থ পাঠাতে পারবেন। আশা করি, বিদেশ থেকে সহজে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম জেনে উপকৃত হয়েছেন।

ডাচ বাংলা ব্যাংক অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর নাম কি

বর্তমানে অনেক প্রবাসী রয়েছেন যারা ডাচ-বাংলা ব্যাংক অনুমোদিত মানি এক্সসে হাউজ গুলোর নাম কি সেটি জানেন না। যার ফলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে ডাচ বাংলা ব্যাংক অনুমোদিত মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ গুলোর নাম জানা থাকে তাহলে খুব সহজে সেইখান থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠানো যায়। তাহলে চলো এক পলকে ডাচ বাংলা ব্যাংক অনুমোদিত মানে এক্সচেঞ্জ হাউজ গুলোর নাম জেনে নেই-
  • Placid Express
  • HomeSend SCRL
  • Instant Cash FZE
  • WorldRemit Limited
  • Ria Financial Services
  • Terra Payment Service
  • PayPal Pte. Ltd. (Xoom)
  • Prabhu Money Transfer
  • TransFast Remittance LLC
  • UAE Exchange Center LLC
  • Merchantrade Asia Sdn. Bhd.
  • NEC Money Transfer Limited
  • Western Union Money Transfer
  • BFC Bank Limited (EZRemit)
  • MoneyGram Payment Systems Inc.
  • Al Ansari Exchange LLC Global Partner
  • Choice Money Transfer dba Small World
উপরের সকল কোম্পানিগুলো প্রায় সব দেশেই সমর্থন করে থাকে এবংউপরোক্ত কোম্পানির গুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই মানি এক্সচেঞ্জ করতে পারবেন।

লেখকের শেষ কথা

এখন খুব সহজেই প্রিয়জনের কাছে মুহূর্তের মধ্যে টাকা পাঠানো হবে। আপনি পৃথিবী যেই দেশে অবস্থানরত থাকেন না কেন সেই দেশ থেকে সহজেই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকা পাঠাবেন যেভাবে এই নিয়ম অনুসারে একদম নিশ্চিন্তায় পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে পারবেন।

আশা করছি, এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অল্প কিছু হলেও বিদেশ থেকে সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন যেভাবে ২০২৪ এই সম্পর্কে জানতে সক্ষম হয়েছেন। যদি এ বিষয়ে আপনাদের মাঝে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

বিদেশ থেকে সহজেই ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন যেভাবে নিয়ে লেখা আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে কমেন্ট ও আপনার পরিচিতদের শেয়ার করতে ভুলবেন না। স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url