আর্টিকেলে গ্রামারটিকাল বা ব্যাকরণগত ভুল সংশোধন করার নিয়ম

আর্টিকেল লেখার সময় আমরা অনেকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্ক্রিনশট টেকনিকস, গ্রামাটিক্যাল এরর চেকার, কপিরাইটিং বিশ্লেষণ,প্লেজারিজম কি নিয়ে কাজ করে থাকি এগুলোর জন্য আলাদা আলাদা করে কাজ করার প্রয়োজন পড়ে। আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টে আর্টিকেলে গ্রামারটিকাল বা ব্যাকরণগত ভুল সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। 
আর্টিকেলে গ্রামারটিকাল বা ব্যাকরণগত ভুল সংশোধন করার নিয়ম
প্রিয় পাঠক, আপনি যদি আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকেন তাহলে এই বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনারা যারা আর্টিকেল রাইটার রয়েছেন তাদের এই সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা জরুরী। তাই অবহেলা না করে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

উপস্থাপনা

আর্টিকেল বা পোস্ট লেখার সময় শুধুমাত্র মূল বা আসল পোস্টটি ভালোভাবে লিখলে হয় না। এর পাশাপাশি কিছু আনুষঙ্গিক বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। আমরা যদি এসব বিষয়গুলি খুব স্বাভাবিকভাবে নেই তাহলে বিভিন্ন সময় আমাদেরকে অনেক অসুবিধা ভোগান্তির সৃষ্টি হতে পারে।

এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তি বা অসুবিধা গুলো সৃষ্টি করতে না চাইলে আমাদেরকে কিছু মৌলিক নিয়ম-কানুন খেয়াল রাখতে হবে। একটি পোষ্টের মধ্যে স্ক্রিনশট এর প্রয়োজন পড়ে। যেমন আমাদের অনেক সময় টিউটোরিয়াল এর মত করে পোস্ট লিখতে হয়।

সেখানে কিছু বিষয় সম্পর্কে আমাদেরকে ধাপে ধাপে বলে দিতে হয়। কখন কোন কাজটি কিভাবে করতে হবে কোথায় ক্লিক করতে হবে এবং কোথায় চাপ দিয়ে ডাউনলোড করতে হবে। সাধারণত এ সকল আর্টিকেল বা পোস্ট লেখার সময় স্ক্রিনশটে ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে যা একটি পোস্টের জন্য অতীব জরুরী।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকেন তাহলে প্লেজারিজম কেন করা যাবে না এবং আর্টিকেলে ব্যাকরণগত ভুল সংশোধন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন, আর কথা না বাড়িয়ে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আশা করি, সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

প্লেজারিজম কি - What is Plagiarism

আমরা অনেকেই জানিনা যে প্লেজারিজম কি বা প্লেজারিজম কেন ব্যবহার করা হয় এবং প্লেজারিজম এর ক্ষতি কি। আপনি কোন একটি আর্টিকেল লিখেছেন সে আর্টিকেলটি কেউ যদি কপি করে তার নিজস্ব ওয়েব সাইটে পাবলিশ করে তখন তাকে প্লেজারিজম বলে। আবার অন্য কেউ যদি আপনার পোস্টটি কপি করে তার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে আপনাকে কোন ক্রেডিট না দেয় তবে তাকে প্লেজারিজম বলা হয়।
কেউ যদি আপনার ওয়েবসাইটের লেখা বা তথ্য চুরি করে তাদের নিজের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেছে কিনা তা দেখার জন্য বিভিন্ন এক্সটেনশন বা এপ্স রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে আপনি এই বিষয়টি চেক করতে পারবেন। চেক করার একমাত্র সাইট হচ্ছে Copys cape। কেউ আপনার পোস্ট চুরি করে তার নিজস্ব ওয়েব সাইটে পাবলিশ করেছি কিনা সাধারণত এই কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে প্লেজারিজম একটি অপরাধ মূলক কাজ।

প্লেজারিজম কেন করা যাবে না

প্লেজারিজম যেহেতু একটি অপরাধ মূলক কাজ সেহেতু এই কাজটি কেউ যদি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আপনি আইনের ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইট থেকে কেউ কপি করে তার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করলে আপনি তাকে কপিরাইট দিতে পারবেন।

ঠিক একই ভাবে আপনি যদি অন্য কারো ওয়েবসাইট থেকে কপি করে নিয়ে এসে আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করেন সেই ওয়েবসাইটের মালিক আপনার বিরুদ্ধে কপিরাইট স্ট্রাইক বা আইনের ব্যবস্থা নিতে পারবে। আর আমরা সবাই জেনে রাখি যে, কপিরাইট আইনে অভিযুক্ত হওয়া মানেই শাস্তি।

এজন্য, আমরা যথাযথ চেষ্টা করব প্লেজারিজম থেকে অব্যাহত থাকা এবং আমাদের প্লেজারিজম করা মোটেও উচিত নয়। আশা করি আপনি এই বিষয়টি আর্টিকেল লেখার সময় বা কোন পোস্ট লেখার সময় সবসময় এই বিষয়টি অর্থাৎ প্লেজারিজম বিষয়টি মাথায় রাখবেন।

কম্পিউটারে স্ক্রিনশট নেওয়ার নিয়ম

বর্তমানে মুঠোফোনে স্ক্রিনশট কিভাবে নিতে হয় তা আমরা সকলেই জেনে থাকি। এইজন্য আমরা আজকে কম্পিউটার থেকে কিভাবে স্ক্রিনশট নেওয়া যায় সেই সম্পর্কে জেনে নিব। একটি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ থেকে কয়েকটি উপায় স্ক্রিনশট নেওয়া যায়।
তার মধ্যে সবচেয়ে সহজতর নিয়ম হলো আপনি যে পেজটির স্ক্রিনশট নেবেন সেই পেজটি প্রথমে আপনাকে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে ডিসপ্লের উপরে রাখতে হবে। আপনি আপনার ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে উইন্ডোজ টেন উইন্ডোজ ইলেভেন যেটাই ব্যবহার করুন প্রথমে স্টার্ট মেনুতে চাপ এবং স্লিপিং টুল সার্চ করে বের করুন।

স্লিপিং টুল অপশনটি আসলে সেখানে ক্লিক করে চালু করব। এরপর স্ক্রিনশট নেয়ার অংশটুকু বরাবর সিলেক্ট করলে স্ক্রিনশট হয়ে যাবে। এবং স্ক্রিনশট থেকে ফাইলে বা ডেক্সটপে সেভ করার জন্য আমরা ঠিক ওপরে থ্রি ডট মেনুতে ক্লিক করব এবং একটু নিচের দিকে এসে সেভ অপশনে অথবা কীবোর্ড শর্টকাট ctrl+s চাপ দিয়ে সেভ করে নিব।

গ্রামাটিক্যাল বা ব্যাকরণগত ভুল সংশোধন

ইংরেজি গ্রামারটিকাল ভুল সংশোধনঃ ওয়েব ব্রাউজারে যেসব গ্রামেরটিক্যাল রয়েছে সেগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইংরেজি খুব ভালোভাবে সাপোর্ট করে কিন্তু বাংলা ভালোভাবে আয়ত্তে আসে না। যার ফলে আমরা আমাদের ইংরেজি ব্যাকরণগত এরর চেক গুলো খুব সহজে ব্রাউজার ইন্টারফেস করতে সক্ষম হব।

যদি আমরা বাংলা ব্যাকরণগত ভুলগুলোকে সংশোধন করতে চাই তাহলে আমরা যে কোন ব্রাউজার দিয়ে এটি সমাধান করতে পারব না। এজন্য আলাদা ভাবে এক্সটেনশন ব্যবহার করতে হবে। যখন আমরা ইংরেজিতে কোন আর্টিকেল লিখব তখন চরিত্র কোন ব্যাকরণগত ভুল থেকে থাকে, তবে ভুলগুলোর ঠিক নিচে লাল কালি দিয়ে আন্ডার লাইন মার্ক করা থাকবে।
এটা দেখে আমরা সহজেই বুঝতে পারব যে গ্রামারটিকাল এরর (error) রয়েছে। তারপরেও যদি আপনি বুঝতে সক্ষম না হতে পারে যে আসলে আপনার কি ভুল আছে তাহলে আপনাকে আন্ডারলাইন করা লেখাগুলোর উপর মাউস পয়েন্টার নিয়ে আপনি যদি রাইট ক্লিক করেন।

তাহলে, যে লোডিং ডিকশনারিতে উঠবে সেখানে বানানটি আপনি বেশ কয়েকটি অপশন দেখতে পাবেন। উপরোক্ত উপায়ে আপনি আপনার ব্রাউজার থেকে ইংরেজি ব্যাকরণগত বা গ্রামারটিকাল ভুল বানানগুলো সমাধান করে নিতে পারবেন।

বাংলা ব্যাকরণগত ভুল সংশোধনঃ আর্টিকেল বা পোস্ট লিখার সময় ব্যাকরণগত ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। বাংলা বানান সংশোধন করতে হলে প্রথমে আপনাকে পোষ্টের শুরুতে ড্রাইভ আকারে বর্ণনা লিখতে হবে। আপনি চাইলে অভ্রর স্পেল চেকার এর মধ্যেও লিখতে পারেন।

আপনার ডেক্সটপ আর ল্যাপটপে যদি অফার ইন্সটল করা থাকে তাহলে আপনাকে স্টার্ট মেনু এর উপরে চাপ দিতে হবে। এরপরে সার্চ বারে যে অভ্র স্পেল চেকার খুজে বের করতে হবে। এরপরে আপনি অভ্র স্কেল চেকারের মধ্যে যদি কোন কিছু লিখে স্পেস চেক এর উপরে ক্লিক করেন তবে যে বানানগুলো পোস্টের মধ্যে ভুল রয়েছে সেগুলো নিচে লাল কালিতে লেখা উঠবে।

এরপর এই বানানগুলো ঠিক করার জন্য আপনি যদি সঠিক বানানটি সিলেক্ট করে চেঞ্জ অল অপশনে গিয়ে ক্লিক করেন তবে যত জায়গায় এ বানানটি ভুল রয়েছে ঠিক সব জায়গাতে এ বানানটি রিপ্লেস হয়ে যাবে। যদি চেঞ্জ ওয়ানসে ক্লিক করেন তবে শুধু নির্দিষ্ট একটি জায়গা থেকে সঠিক বানানটি রিপ্লেস হবে।

কপিরাইটিং বিশ্লেষণ

প্রাথমিকভাবে কপিরাইটিং বিষয়টি শুনলেই আমাদের মাঝে ধারণা আসে যে এতে হয়তো কপিরাইট বা কপি পেস্টিং বিষয়বস্তু রয়েছে। কপিরাইট বলতে আমরা সবাই জানি যে কোন পোস্ট আর্টিকেলের মহাজন।

সাধারণভাবে কপিরাইট বিষয়টি বোঝানো বেশ কঠিন চলুন আপনাকে কপিরাইট বিষয়টি সহজ ভাবে বোঝানোর জন্য উদাহরণ মোতাবেক বোঝানো যাক। প্রথমত কপিরাইট ব্যাপারটি বুঝতে হলে আমাদেরকে তিনটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
  • Attention
  • Promise
  • Call to action
Attention: একটি বিষয়ে মনে করুন সেটি হচ্ছে আপনি ফেসবুকে ট্রল করতে করতে কোন একটা পোস্ট বা অফার যেমন ধরুন ফ্রিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং করার কোর্স এরকম কিছু একটা। এই অফারটি দেখে আপনার মাথায় কাজ করবে ফ্রিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কোর্স? তখন এই বিষয়টিও মাথায় আসবে যে দেখা যায় কি আছে এর ভেতরে।

পোস্টে প্রবেশ করে দেখে মনে হল, এটি আপনার জন্য প্রযোজ্য বা আপনি এ কাজটি করতে আগ্রহী। এরপর নিশ্চয়ই আপনি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য পোস্ট এ ক্লিক করবেন।তারপরে, বিস্তারিত পোস্টটি পড়ে আপনি এ কাজটি করার জন্য বেশ আগ্রহী হয়ে গেলেন এবং ভর্তি হওয়ার জন্য লিংকে চাপ দিয়ে ভর্তি পর্যন্ত হয়ে গেলেন।

তাহলে বুঝতেই পারছেন যে এই সম্পূর্ণ বিষয়টি আসলে নির্ভর করবে আপনার কপি রাইটিং এর ওপর। আপনার পোস্টটিকে আপনি যত ভালোভাবে কপিরাইট করতে পারবেন আপনার বিভিন্ন পোস্ট বা বিভিন্ন জিনিসপত্র তত উপকারী হবে। যদি আপনার কপিরাইট ভালো না হয় তাহলে আপনার পোস্টটি পড়ে পাঠক আকৃষ্ট বা আগ্রহী হবে না এবং এগুলো আপনি বিক্রি বা মার্কেটিংও করতে পারবেন না।

বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা অনেক বিজ্ঞাপন দেখতে পাই তবে আমরা সব বিজ্ঞাপনে কিন্তু সেই ভাবে আকৃষ্ট বা আগ্রহী হয় না যেসব বিজ্ঞাপন দেখে আমরা আকৃষ্ট হয় সেগুলোকে বলা হচ্ছে Attention একজন কপিরাইট এর কাজ হল পাঠক কি চায় না চাই সেই বিষয়টি বুঝে সে বিষয়ে লিখালিখি করা।

Promise: আপনি যে প্রোডাক্ট বা পণ্যটি আপনার কাস্টমারদের কাছে দিবেন সেটি পেলে যাতে তারা কিছু একটা করতে বারবার ভালো আর্নিং করতে পারে এরকম কোনরকম প্রমিসিং কোন কথা আপনি আপনার লেখালেখির মধ্যে রাখতে হবে। যদি আপনার কোন কথা আপনার পোস্টে লেখালেখির ভেতরে রাখেন তাহলে এটা দেখে কাস্টমার আপনার পোস্টটি বা সেবাটি কেনার জন্য আগ্রহী হয়ে যাবে।

Call to action: যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে কাস্টমাররা আপনার সেবা বা পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে এবং তাদের কাছে আপনি প্রমিস করতে পেরেছেন। তাহলে যেই বিষয় দেখে কাস্টমার আকৃষ্ট হয়েছে সেই সেবা পোস্টটি তাদের হাতে তুলে দেওয়া বা তাদের কাছে মার্কেটিং করে বিক্রি করে দেওয়াকে Call to action বলে থাকি। মূল বিষয় হচ্ছে, কোন ব্যক্তির মনোযোগ আকৃষ্ট করে তার কাছে প্রমিসিং কিছু কথাবার্তা বলে তার কাছে কোন সেবা বা পণ্য বিক্রি করাই হচ্ছে কপিরাইট।

লেখকের শেষকথা

আমাদের ইতিমধ্যে আর্টিকেলে গ্রামারটিকাল বা ব্যাকরণগত ভুল সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিলাম। যদি এ বিষয়ে আপনাদের মাঝে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। সমাধান দেওয়ার যথাযথ চেষ্টা করব। আশা করছি, এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এই বিষয়ে অল্প কিছু হলেও এই বিষয়ে জানতে সক্ষম হয়েছেন।

আর্টিকেলে গ্রামারটিকাল বা ব্যাকরণগত ভুল সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের ব্লগটি আপনার ভালো লেগে থাকলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতে অন্যরাও এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তথ্যবহুল নিত্য নতুন স্বাস্থ্য এবং প্রযুক্তি সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url