ঈদুল ফিতরের দিনের সুন্নত সমূহ - ঈদের দিনের ১৫টি আমল

সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম। আশা করছি, আপনারা সকলেই ভালো আছেন। পবিত্র শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখে পবিত্র "ঈদুল ফিতর" পালিত হয়। যা পবিত্র রমজান মাসের পরের মাসে আসে। ঈদ মানেই আনন্দ যা পবিত্র রমজানের দীর্ঘ এক মাসে রোজা পালন করার ফল হলো ঈদুল ফিতরের আনন্দ। তাই ইসলামে ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব অনেক বেশি।  প্রতিটা মুসলীমদের জন্য ঈদুল ফিতর দিনটি নেক গুরুত্বপূর্ণ। আর এই গুরুত্বের অন্যতম কারণ হলো এই দিনের ইবাদত।
ঈদুল ফিতরের দিনের সুন্নত সমূহ | ঈদের দিনের ১৫টি আমল

যা আমাদের উপমহাদেশের অনেক মুসলমানরা হয়তো জানেন না। তাই আজকের পোষ্টে আমরা জেনে নিব ঈদুল ফিতরের গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ বা আমল গুলো কী কী। এই দিনে আমাদের প্রিয়নবী রাসুল (সাঃ) কী কী করেছেন এবং তাঁর উম্মতদের যেসব করার জন্য আদেশ ও নিষেধ করেছেন সেগুলো সংক্ষিপ্তভাবে জানার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

উপস্থাপনা

পবিত্র রমজান মাস শেষে আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মুসলমানদের জন্য ঈদুল ফিতর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহোৎসব। মুসলিম মিল্লাতের সবচেয়ে বড় আনন্দের দিন। মনের ভেতর মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে, মান-অভিমান বিসর্জন দিয়ে একতা বজায় রেখে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের দিন। এক কথায় সবার সাথে মনে প্রানে আনন্দ ভাগাভাগি করার দিন।

আমাদের মধ্যে হয়তো এমন অনেকেই আছেন যারা ঈদুল ফিতরের দিনের সুন্নত সমূহ সম্পর্কে জানতে চাই। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের পোস্টে ঈদুল ফিতরের দিনের সুন্নত সমূহ এবং ঈদের দিনের ১৪টি আমল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে আসুন, আর কথা না বাড়িয়ে প্রথমেঈদুল ফিতরের অর্থ কি? সেই সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেই।

ঈদুল ফিতরের অর্থ কি?

ঈদ শব্দটি আরবি শব্দ, যার অর্থ হচ্ছে আনন্দ। ‘ফিতর’ শব্দটিও আরবি শব্দ, যার অর্থ রোজা ভাঙা।  ঈদুল ফিতরের অর্থ হচ্ছে পবিত্র রমজান শেষে আনন্দ, আল্লাহ তা'আলার নিয়ামত লাভ করার আনন্দ। হিজরি সনের দশতম মাস অর্থাৎ শাওয়াল মাসের ১ তারিখে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।

পবিত্র ঈদের দিনের বিশেষ ১৫টি আমল ও সুন্নাহ

পবিত্র ঈদের দিনে কিছু বিশেষ আমল রয়েছে যেগুলো জেনে নেওয়া আমাদের প্রতিটা মুসলমানেরই উচিত। তবে শুধু জেনে নিলে হবে না ঈদের দিনে এই আমল গুলো পালন করতে হবে। এই আমল গুলো আমাদের সকলের জন্য সুন্নাত ও জরুরি। পবিত্র ঈদের দিনের বিশেষ ১০টি আমল বা সুন্নত সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো-

তাকবীর পাঠ করা

রমজান মাস শেষে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সাথে সাথে ঐ দিনের সন্ধ্যার পরেই তাকবীর উচ্চারণ শুরু করতে হয়। তবে ঈদুল ফিতরের তাকবীর পাঠ করা কখন শেষ হবে, এটা নিয়ে যথেষ্ট মতামত রয়েছে। একটা মত হচ্ছে, ইমাম সাহেব ঈদের নামায আদায়ের জন্য উপস্থিত হলেই তাকবীর উচ্চারণ বন্ধ করতে হবে।

প্রতিটি ঈদের রাতে প্রতিটা মুসলমানদের তাকবীর পাঠ করতে হবে। এটা সর্বপ্রথম আমল ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ। এই তাকবীর আমরা বাড়িতে কিংবা রাস্তা পথে ও মসজিদে সফরের যেকোনো সময়েই পাঠ করতে পারি। এই বিষয়ে আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেন, "এবং (আল্লাহ) তোমাদেরকে যে সুপথ দেখিয়েছেন, তজ্জন্য তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব বর্ণনা কর।" (সূরা বাকারা ১৮৫)

গোসল করা ও পবিত্রতা অর্জন করা

ঈদের নামাজের জন্য গোসল করা ও মিসওয়াক করা সুন্নাত। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে-

মুয়াত্তা মালেকসহ অন্যান্য হাদিস গ্রন্থে সহিহ সূত্রে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে যে, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রা.) ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে গোসল করতেন। (মুয়াত্তা, হাদিস : ৪২)

নাফে হতে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) ঈদের দিন দিন ঈদগাহে যাওয়ার আগে গোসল করতেন। (মুয়াত্তা মালেক, হাদিস : ৩৮৪)

আলবানি (রহ.) ‘ইরওয়াউল গালিল’ নামক গ্রন্থে ফারয়াবি সাঈদ ইবনুল মুসায়‌্যিব রাদ্বিয়াল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন- ঈদে দিন ৩টি সুন্নাত। ১. পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া ২. ঈদগাহে যাওয়ার আগে মিষ্টি কোনো কিছু খাওয়া। ৩. গোসল করা। 

সুন্দর ও উত্তম পোষাক পরিধান করা

সারা বিশ্বের মুসলিমদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসব প্রথমটি ঈদুল ফিতর ও দ্বিতীয়টি ঈদুল আজহার দিন।ঈদের নামাজের জন্য পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন সুন্দর ও  নিজের সাধ‌্যেমতো সবচেয়ে উত্তম পোষাক পরিধান করা সুন্নত।

ইবনুল কায়্যিম রহিমাল্লাহ বলেন যে- আমাদের নবীজি দুই ঈদের দিন সবচেয়ে সুন্দর ও উত্তম কাপড় পরিধান করতেন। তার একটা বিশেষ সুট ছিলো, যেটা তিনি দুই ঈদে ও জুমার দিনে পরিধান করতেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে-

জাফর ইবনু মুহাম্মদ পিতা ও তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করিম (সা.) প্রতিটি ঈদে ডোরা-কাটা কাপড় পরিধান করতেন। (সুনানে বায়হাকি, হাদিস : ৬৩৬৩)

সুগন্ধি ব্যবহার করা (ছেলেদের ক্ষেত্রে)

ঈদের দিন সুগন্ধি (আতর) ব্যবহার করা নেক জরুরি একটি সুন্নাহ। রাসুল (সা.) সুগন্ধি দেওয়া খুবই পছন্দ করতেন। এই বিষয়ে হানাফী, শাফেয়ী, মালেকী ও হাম্বলী প্রতিটি মাযহাবের একমত রয়েছে। (আদ্দুররুল মুখতার-২/১৬৮)

ঈদগাহে যাওয়ার আগে পানাহার কর

ঈদুল ফিতরের দিন বা ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার আগে সামান্য কিছু পানাহার (মিষ্টি জাতীয় খাবার) করা সুন্নত। তবে ঈদুল আযহার ক্ষেত্রে আলাদা সেই দিন পানাহার ব্যতীত ঈদগাহে গমন করা ও নামাজের পর নিজের কুরবানির গোশত দিয়ে প্রথম খাবার গ্রহণ করা সুন্নাত।

আনাস (রা.) বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি (সা.) ঈদুল ফিতরের দিন সকালে পানাহার হিসেবে খেজুর খেতেন। অন্য এক বর্ণনামতে, তিনি বেজোড় সংখ্যক খেজুর খেতেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৫৩)

সকাল সকাল ঈদগাহে গমন করা

মুসলানের জন্য আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ হচ্ছে, ফজরের নামাজের পরপরই (দেরী না করে) ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হওয়া। (সুনানে আবু দাউদ হাদীস নাম্বার-১১৫৭)

সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা

ঈদের দিনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ হলো, ঈদের নামাজের আগেই সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা। সাদাকাতুল ফিতর মানে হচ্ছে রোজার ভুল ত্রুটির কাফফারা দেওয়া। এই সাদাকাতুল আমাদের উপমহাদেশে টাকা দিয়ে আদায় করে। যদিও রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাহ হচ্ছে এক নিসাব পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য জন প্রতি হিসাব করে দেওয়া। (আদ্দুররুল মুখতার-২/১৬৮

ঈদগাহে যাতায়াতের সময় তাকবির বলা

ঈদের দিন বেশি বেশি তাকবির পাঠ করতে হবে। আল্লাহকে ডাকার মধ্যেই প্রকৃত আনন্দ পাওয়া যায়। তাই ঈদগাহে যাতায়াতের সময় তুলনামূলক নিম্বস্বরে তাকবির বলা এবং ঈদুল আজহার দিন উচ্চস্বরে তাকবির পাঠ করা সুন্নত।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন , ‘যাতে তোমরা গণনা পূরণ করো এবং তোমাদের হেদায়াত দান করার দরুণ আল্লাহ তাআলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

জুহরি থেকে বর্ণিত আছে যে, নবীজি (সা.) ঈদুল ফিতরের দিন তাকবির পাঠ করতে করতে ঈদগাহের দিকে যেতেন এবং তিনি নামাজ পড়ার আগ মুহূর্ত এ তাকবির অব্যাহত রাখতেন। নামাজ শেষ হলে তাকবির পাঠ বন্ধ করে দিতেন। (সিলসিলাতুল আহাদিস আস সহিহাহ : ১৭১)

ঈদগাহে আসা-যাওয়ার রাস্তা পরিবর্তন করা

ঈদগাহে যাতায়াতের রাস্তা পরিবর্তন করা সুন্নাত। যাওয়াত সময় এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাওয়া আবার ঈদগাহ থেকে আসার সময় অন্য রাস্তা ব্যবহার করা সুন্নত। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- নবী করিম (সা.) ঈদের দিন ঈদগাহে আসা-যাওয়ার রাস্তা পরিবর্তন করতেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৮৬)

ঈদগাহে মহিলা যাওয়া

তৎকালীন সময়ে নিয়মিত সালাতের পাশাপাশি প্রতিটি ঈদগাহেও মহিলারা যেত। এটা অনেক জরুরী একটি সুন্নাহ ছিলো। যা আমাদের উপমহাদেশে নেই। অথচ পবিত্র হাদিসে আছে মহিলাদের ঈদগাহে যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।

উম্মু আতিয়্যাহ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, (ঈদের দিন) আমাদেরকে বের হবার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল। তাই আমরা যুবতী, ঋতুবতী, এবং তাঁবুতে অবস্থানকারিণী নারীদেরকেও নিয়ে বের হতাম। 

অতঃপর ঋতুবতী মহিলাগণ মুসলমানদের জামা‘আত এবং তাদের দু‘আয় অংশগ্রহণ করতেন। তবে ‘ঈদমাঠে আলাদাভাবে অবস্থান করতেন। (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৯৮১)। অর্থাৎ রাসুল (সাঃ) এর জীবদ্দশায় মহিলারা নিয়মিত সালাত আদায়ের পাশাপাশি ঈদগাহেও গমন করত। 

পায়ে হেঁটে ঈদগাহে গমন

কোনো ধরনের অপারগতা না থাকলে যথাসম্ভব পায়ে হেঁটে ঈদগাহে গমন করা সুন্নাহ। ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) ঈদগাহে পায়ে হেঁটে গমন করতেন এবং পায়ে হেঁটেই ঈদগাহ থেকে ফিরে আসতেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১২৯৫)

ওয়াক্ত না হওয়া পর্যন্ত ইমামের বিলম্ব করা

ইমাম সাহেবের জন্য উত্তম হচ্ছে, ঈদের নামাযের ওয়াক্ত না হওয়া পর্যন্ত দেরি করে ঈদগাহে যাওয়া। যেন তিনি ঈদগাহে  যাওয়ার সাথে সাথে মুসল্লিদের নিয়ে ঈদের সালাত আদায় করতে পারেন।

ঈদের খুতবা শ্রবণ করা

ঈদের নামাজের শেষে খুতবা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। এক হাদিসে এসেছে-

আবদুল্লাহ ইবনু সায়িব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- পবিত্র  নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে আমি ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে উপস্থিত হলাম। এরপর তিনি আমাদের নামাজ পড়িয়েছেন। অতঃপর তিনি বলেন: “আমরা নামাজ শেষ করেছি। যার ইচ্ছা সে খুতবা শুনার জন্যে বসবে এবং যার চলে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে সে চলে যাবে।’ (ইবনু মাজাহ, হাদিস : ১০৭৩

ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা

ঈদের দিনের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ হচ্ছে একে অপরের সাথে মোসাফা করে দোয়া করা। ঈদের দিনে পরস্পরে সাক্ষাৎকালে সাহাবীগণ একে অপরের জন্য এই বলে দোয়া করতেন, "তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা।" অর্থাৎ "আল্লাহ আমাদের এবং আপনার সৎ আমল গুলো ক্ববুল করুন।" রেফারেন্স: হাসান (ইবনে হাজার আল আসকালানী)। ফাতহুল বারীঃ ২/৫১৭

আমাদের সকলকে ঈদের দিনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত, সেটা হচ্ছে ঈদের দিনে মুসাফা করা সুন্নাহ হলেও ঈদের সালাত শেষে মুআনাকা অর্থাৎ কোলাকুলি করা বিদআত। কেননা, এই কাজ আমরা নিজে সৃষ্টি করেছি। এই কাজ রাসুল (সাঃ) এবং তার সাহাবীদের থেকে প্রমাণিত নয়।

এছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ যা আমাদের জেনে রাখা জরুরি। যা পালন করতে পারলে অবশ্যই আমরা সওয়াবের ভাগিদার জতে পারবো। ঈদের দিন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা। (তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৮৫৯, বাইহাকী হাদিস: ৬১২৬)। সুন্দরভাবে মিসওয়াক করা। (তাহতাবী আলা মারাকিল ফালাহ-২৮৯)।

এছাড়াও ঈদের নামাজ ঈদগাহে আদায় করা সুন্নাত। কোনো উল্লেখযোগ্য কারন ছাড়া জামাত মসজিদে আদায় করা উচিত নয়। (সহীহ বুখারী হাদীস নাম্বার-৯৫৬)। আবার যে রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাব সম্ভব হলে ফেরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা। (সহীহ বুখারী হাদীস নাম্বার-৯৮৬

ঈদগাহ থেকে ফিরে নফল আদায় করা

ঈদের সালাতের আগে ও পরে ঈদের নামাজের জায়গায় যেকোনো ধরনের নফল নামাজ আদায় করা মাকরুহ। ঈদের সালাতের পরে ঈদগাহ থেকে বাড়ি গিয়ে দুই রাকাত নফল আদায় করা সুন্নত। এক হাদিসে এসেছে-

আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন- নবী করিম (সা.) ঈদের সালাতের আগে কোনো নামাজ আদায় করতে হয় না। তবে নামাজের পর বাসায় গিয়ে করে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১২৯৩)

লেখকের শেষ মন্তব্যঃ ঈদের দিনের বিশেষ ১৫ আমল

প্রিয় পাঠক, আশা করছি ইতিমধ্যে উপরের আলোচনা থেকে আপনারা রাসুল (সাঃ ) এর শিক্ষা অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের সুন্নাত আমলগুলো জানতে পেরেছেন। সকল মুসলমানদের উচিত রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাহ গুলো অনুসরণ করা। রাসুল (সাঃ) এর সুন্নাহ ব্যতীত কোনো আমলই ইসলামে গ্রহনযোগ্য নয়।

আমাদের উপমহাদেশে আজ ইসলামের দুই ঈদ ছাড়াও, আরো অন্যান্য ঈদেরও প্রচলন হয়েছে। আল্লাহ আমাদের এইসকল বিদআত থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন। ঈদের দিনের এসব আমল ও আয়োজন আমাদের ঈদের আনন্দ অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সবাই তওফিক দান করুক। আমিন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url