সৌদি আরবের কোন ভিসা সবচেয়ে ভালো ২০২৪ - Best Saudi Visa

বর্তমানে কর্মীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো এবং নিরাপত্তার দেশ হচ্ছে সৌদি আরব। তাই আজকের খেলে সৌদি আরবের কোন ভিসা সবচেয়ে ভালো ২০২৪ এই বিষয়ে আলোচনা করব। আশা করি, সৌদি আরবের কোন ভিসা সবচেয়ে ভালো ২০২৪ সম্পর্কিত সম্পূর্ণ আর্টি কেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
সৌদি আরবের কোন ভিসা সবচেয়ে ভালো
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকেন তাহলে সৌদি আরবের কোন ভিসা সবচেয়ে ভালো ২০২৩ - Best Saudi Visa এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ভূমিকা

বর্তমানে বিশ্বের সকল দেশের তুলনায় সৌদি আরব বেশি পরিমাণ কর্মী বিভিন্ন কাজে বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশ নিয়ে নিয়োজিত আছে। কিন্তু, আমরা অনেকেই এই বিষয়ে জানিনা যে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য সৌদি আরবের কোন ভিসা সবচেয়ে ভালো হবে এবং সুযোগ-সুবিধা ও বেতন বেশি পাওয়া যাবে। তাই আজকের আর্টিকেলে এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে।

বাংলাদেশ থেকে অনেকেই প্রতিবছরই সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশ্যে যায়। কিন্তু, বর্তমানে যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তা সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রবাসীরা বিভিন্ন কঠিন কাজের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছে। এজন্য সৌদি আরব যাওয়ার আগে জেনে নিন, বর্তমানে সৌদি আরবের কোন ভিসা সবচেয়ে ভালো ২০২৪।

বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের সময়ের পার্থক্য কত

এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সৌদি আরব হচ্ছে অন্যতম মুসলিম দেশ। বর্তমানে সৌদি আরবের বাংলাদেশের অনেক জনগণ অবস্থানরত অবস্থায় আছেন। আপনারা অনেকেই জানতে চান যে বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের সময়ের পার্থক্য কত। বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের সময়ের পার্থক্য হচ্ছে ৩ ঘন্টা অর্থাৎ বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের চেয়ে সৌদি আরবে সময় ৩ ঘন্টা কম। মনে করুন এখন বাংলাদেশের সময় বিকাল ৪ঃ৩০ মিনিট। কিন্তু এখন সৌদি আরবের সময় ১ঃ৩০ মিনিট।
আশা করি, বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের সবার মধ্যে পার্থক্য কত এ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন বা জানতে পেরেছেন। এখন আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন এশিয়া মহাদেশের মধ্যে অন্যতম মুসলিম দেশ সৌদি আরবে এখন কয়টা বাজে।

সৌদি আরবের কোন ভিসা সবচেয়ে ভালো ২০২৪

পৃথিবীর মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম সুন্দর এবং মুসলিম দেশ হচ্ছে সৌদি আরব। যেখানে রয়েছে মক্কা-মদিনা থেকে শুরু করে ইসলামের বিভিন্ন পবিত্র স্থানসমূহ। আমেল আইদি বা ফ্রি ভিসা নির্দিষ্ট কাজের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের জন্য সবচেয়ে ভালো। যদিও অভিজ্ঞ কর্মীদের ক্ষেত্রে যে কোন ভিসায় ভালো। তবে নির্দিষ্ট কাজের ক্ষেত্রে আমেল আইদি বা ফ্রি ভিসা সবচেয়ে ভালো।
বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট পাঁচটি খাতে প্রতিবছর মোটামুটি পাঁচ হাজার দক্ষ কর্মী ও পেশাদার নিয়োগ দিয়ে থাকে সৌদি আরব। অটোমোবাইল, এসি মেকানিক, ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রিশিয়ান এবং প্লাম্বার এ সকল কাজের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বা দক্ষ ব্যক্তিগণ আইদি বা ফ্রি ভিসায় যেতে পারলে কাজের সুযোগও বেশি এবং উপার্জনও বেশি হয়। তবে কোম্পানি ভিসাতে এসব কাজের চাহিদা খুব বেশি।

অনুরূপভাবে যদি দক্ষতা না থাকে তবে ক্লিনার, ড্রাইভিং এবং বাসা বাড়ির কাজে আমেল মঞ্জিল ও চাওয়াক খাছ ভিসায় যাওয়া বেশি ভালো হবে। আমেল মঞ্জিল ও চাওয়াক খাছ এই ভিসায় বেতন কম হলেও কাজের চাহিদা অনেক বেশি। পরিশেষে বলা যায় প্রবাস জীবনের সফল হতে হলে অবশ্যই প্রথমে দক্ষতা অর্জন করতে হবে তাহলেই সৌদি আরবে সফল হওয়া যাবে।

সৌদি আরবের ভিসা কত প্রকারের হয়

প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের অনেক মানুষ বিভিন্ন কারণে সৌদি আরবে ভ্রমণ করে থাকে। বাংলাদেশ ছাড়া অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রকারের ভিসা চালু রয়েছে। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের জন্য সৌদি আরবের যে সকল ভিসার প্রকারভেদ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
  • সৌদি আরব হজ্ব ভিসা (Saudi Arabia Hajj Visa)
  • সৌদি আরব কাজের ভিসা (Saudi Arabia Work Visa)
  • সৌদি আরব ফ্যামিলি ভিসা (Saudi Arabia Family Visa)
  • সৌদি আরব শিক্ষা ভিসা (Saudi Arabia Education Visa)
  • সৌদি আরব ব্যবসা ভিসা (Saudi Arabia Business Visa)
  • সৌদি আরব টুরিস্ট ভিসা (Saudi Arabia Tourist Visa)
একজন বাংলাদেশী নাগরিক এই ছয় প্রকার ভিসা গুলোর মাধ্যমে সৌদি আরব যেতে পারবেন। চলুন সংক্ষেপে এই ছয় প্রকার ভিসা গুলো সম্পর্কে জেনে নিই।

সৌদি আরব হজ্ব ভিসা (Saudi Arabia Hajj Visa): আপনি যদি হজ করার উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যেতে চান তাহলে হজ্ব ভিসা আবেদন করে সৌদি আরবের সরকার কর্তৃক ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। হজ্ব ভিসাই সৌদি আরবে গিয়ে যে সকল দর্শনীয় স্থান রয়েছে সে সকল স্থানগুলো ঘুরে দেখতে পারবেন।

সৌদি আরব কাজের ভিসা (Saudi Arabia Work Visa): বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ সৌদি আরবে কাজের উদ্দেশ্যে সেখানে যেতে চান। তাহলে, আপনাকে সৌদি আরব কাজের ভিসা আবেদন করে সে দেশে যেতে হবে।

সৌদি আরব ফ্যামিলি ভিসা (Saudi Arabia Family Visa): বাংলাদেশে অনেকে আছেন যারা পুরো ফ্যামিলি প্যাকেজ নিয়ে ঘুমানোর জন্য সৌদি আরবে যায়। সে ক্ষেত্রে আপনাকে সৌদি আরব ফ্যামিলি ভিসা আবেদন করতে হবে এবং সেখানে গিয়েপুরো ফ্যামিলি নিয়ে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরতে পারবেন। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে সৌদি আরব ফ্যামিলি ভিসার মেয়াদ মাত্র ৩ মাস।

সৌদি আরব শিক্ষা ভিসা (Saudi Arabia Education Visa): আমরা জানি, মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিমদের সৌদি আরব আরবি শিক্ষা দিক থেকে অনেক উন্নত রাষ্ট্র। আপনি যদি উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে স্কলারশিপ নিয়ে সৌদি আরবে যেতে চান তাহলে, আপনাকে এই ইচ্ছা পূরণ করার বিশেষ সুযোগ দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। কারণ, আপনি কলারশিপ নিয়ে একজন বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে সৌদি আরবে যেতে পারবেন।

সৌদি আরব ব্যবসা ভিসা (Saudi Arabia Business Visa): আমাদের বাংলাদেশের অনেক নাগরিকগণ রয়েছে যারা সৌদি আরবে ব্যবসা করার জন্য বিনিয়োগ করতে চায়। যারা সৌদি আরবের বিজনেস বা ব্যবসা করতে চান তাদেরকে সৌদি আরব ব্যবসা ভিসা আবেদন করতে হবে।

সৌদি আরব টুরিস্ট ভিসা (Saudi Arabia Tourist Visa): আপনি যদি সৌদি আরবের দর্শনা স্থানগুলো ঘুরে আসার উদ্দেশ্যে সৌদি আরব ভ্রমণ করতে চান তাহলে আপনাকে সৌদি আরব পুলিশ ভিসা আবেদন করতে হবে। কারণ, সৌদি আরবের টুরিস্ট ভিসা হচ্ছে এমন এক ভিসা যার মাধ্যমে আপনি সৌদি আরবের যেকোন স্থানে ভ্রমন করতে পারবেন।

সৌদি আরবে কোন ভিসায় বেশি বেতন ২০২৪

সৌদি আরবে ড্রাইভিং ভিসায় সবচেয়ে বেতন। সৌদি আরবে একজন ড্রাইভিং ভিসাতে মাসে এক লাখ টাকা থেকে দুই লাখ পর্যন্ত টাকা কামানোর সুযোগ থাকে। সৌদি আরবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ড্রাইভিং ভিসায় কাজ করা যায়। সেক্ষেত্রে প্রথমত ফুড ডেলিভারি সহ আরো অন্যান্য কাজ করতে পারবেন। বর্তমানে আপনি যদি ভালোভাবে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিয়ে সৌদি আরবে গিয়ে ড্রাইভিং কাজে নিয়োজিত থাকতে পারেন।

তাহলে, প্রতি মাসে এক লাখ বিশ হাজার টাকারও বেশি পরিমাণে মাসিক বেতন তুলতে পারবেন। এজন্য বলা যায় সৌদি আরবে ড্রাইভিং ভিসার চাহিদা এবং বেতন বেশি। বর্তমানে আপনারা যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে ড্রাইভিং অভিজ্ঞতা নিয়ে সৌদি আরবে ড্রাইভিং কাজে নিয়োজিত থাকতে পারবেন এজন্য আপনাকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিয়ে সৌদি আরবে গিয়ে ড্রাইভিং ভিসার কাজ করার ফলে একটি ভালো এমাউন্ট বেতন পাবেন।

সৌদি আরবে কোন ভিসার সুবিধা বেশি

বর্তমানে সৌদি আরবে ড্রাইভিং ভিসার চাহিদা এবং সুবিধা দুটোই বেশি। কেননা, সৌদি আরবে ড্রাইভিং ভিসার যেমন সুযোগ-সুবিধা বেশি তেমনি ভালো পরিমাণ বেতনও তুলতে পারবেন। এছাড়াও রেস্টুরেন্ট ভিসাতে বেশ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এবং রেস্টুরেন্ট হিসাবে বেতন অনেক বেশি। আপনারা যদি আমেল আইদি ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে যেতে পারেন তাহলে ভালো সুযোগ সুবিধা এবং কাজে নিয়োজিত থেকে ভালো পরিমাণে বেতন পাবেন।

পরিশেষে বলা যায় ড্রাইভিং ভিসা সহ আরো অন্যান্য ভিসা পাওয়া যায় যেমন রেস্টুরেন্ট ভিসা তে কাজ করতে পারলে বেশি সুবিধা সহ এসব কোম্পানিগুলো যাতায়াত ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে।

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা খরচ কত

বাংলাদেশে অনেক মানুষ রয়েছে যারা কোম্পানি ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে যেতে চান। আপনি যদি সে মানুষের মধ্যে হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রথমত জানতে হবে যে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা খরচ কত সে বিষয়ে বিস্তারিত এবং সঠিকভাবে জানতে হবে। বর্তমানে বিভিন্ন প্রকারভেদের ভিসা পাওয়া যায়। আপনারা যদি সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসায় যেতে চান তাহলে ভিসা আবেদনের খরচ হবে প্রায় ২ হাজার রিয়াল যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৫৮ হাজার টাকা খরচ হবে।

যদি আপনি বাংলাদেশের দালালের মাধ্যমে কোম্পানি ভিসা করতে চান তাহলে আপনাকে আরো বেশি টাকা গুনতে হবে। এর মুখ্য কারণ হচ্ছে আমাদের দেশের দাদারা কোম্পানির ভিসা খরচ অনেক বেশি নেয়। ফলে, দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবের ভিসা করতে আপনার কোন ভাবে প্রায় ১৩,৭০৬ রিয়াল থেকে ২৭,৪১২ রিয়াল যা বাংলাদেশী টাকায় ৪-৮ লাখ টাকা।

সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা

বর্তমানে বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ কোম্পানি ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে যায়। আর এই কোম্পানি ভিসা কে বলা হয় ফ্রি ভিসা। তবে ফ্রি ভিসা দুই ধরনের হয়ে থাকে প্রথমটি প্রফেশনাল (Professional) এবং দ্বিতীয়টির নন প্রফেশনাল (Non-Professional)। প্রফেশনাল এর ক্ষেত্রে খরচ হবে দশ হাজার টাকা এবং নন প্রফেশনাল এর জন্য খরচ হবে মাত্র এক হাজার টাকা। তবে ফ্রি ভিসার বেশ কয়েকটি সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে।

তবে, ফ্রি ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে যাওয়ার আগে আপনার উচিত হবে ফ্রি ভিসার সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিয়ে তারপরে সে দেশে যাবেন। তাহলে সে দেশে যাওয়ার পরে কোন ঝামেলা বা বিপদের সম্মুখীন থেকে রক্ষা পাবেন। সৌদি আরবে ফ্রি ভিসাতে গেলে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, যদি আপনি সেই সকল সমস্যার মোকাবেলা করতে না চান তাহলে ফ্রি ভিসা নিয়ে না যাওয়াটাই উত্তম।

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আশা করছি, এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এই বিষয়ে অল্প কিছু হলেও এই সকল বিষয়ে জানতে সক্ষম হয়েছেন। যদি এ বিষয়ে আপনাদের মাঝে কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।

সৌদি আরবের কোন ভিসা সবচেয়ে ভালো ২০২৪ এই বিষয়ে নিয়ে লেখা আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত অন্যান্য আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url