বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট - বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

সম্মানিত পাঠক আশা করি আপনারা পরিবারদের নিয়ে সকলেই ভালো আছেন। আজকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী টপিকে আলোচনা করব সেটি হচ্ছে বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট ও বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। সন্তান জন্মের পরে প্রতিটা মায়েরই খেয়াল রাখা উচিত যেন তার সন্তান ঠিকমতো বুকের দুধ পায়। কারণ বাচ্চা যদি বুকের দুধ ঠিকভাবে না পায় তাহলে ক্ষুধা মেটে না, চিৎকার ও কান্নাকাটি করেযার ফলে বাচ্চা অপুষ্টিতে ভোগে।
বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট - বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

তাই এই বিষয়ে প্রতিটা মায়েদের সচেতন থাকতে হবে। তবে আপনাদের সুবিধার কথা ভেবে আমরা আজকের পোষ্টে কি খেলে বুকের দুধ কমে যায়, বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট, কি খেলে বুকের দুধ আসে সহ বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে হলে আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। তাই অবহেলা না করে আমাদের সাথে শেষ অবদি থেকে জেনে নিন। এতে আপনার ও আপনার সন্তানের জন্য অনেক উপকারে আসবে।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

উপস্থাপনা - বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট

সন্তানের জন্য একজন মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় জেনে রাখাটা খুবই জরুরি। সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চার জন্য একমাত্র আদর্শ খাবার হচ্ছে তার মায়ের বুকের দুধ। এজন্য প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধির বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে ধারণা রাখা দরকার।

কেননা সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চার পরিপূর্ণ পুষ্টি এবং তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হলে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হয়। অনেক মায়েদের বিভিন্ন কারণবশত বুকের দুধ কমে যেতে বা শুকিয়ে যেতে পারে। যার ফলে তখন সন্তান মায়ের বুকের দুধ না পেয়ে তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয়।

তাই আমাদের বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট ও বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিতে তাহলে এতে মায়ের বুকের দৃধ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জেনে রাখতে হবে। যাতে আপনি আপনার বাচ্চাকে নিমিষেই বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন।

এতে আপনার বাচ্চা ভালো থাকবে। পাশাপাশি আপনার বাচ্চা পুষ্টিহীনতা থেকে রক্ষা পাবে। তাহলে চলুন, আর আপনার মূল্যবান সময়টুকু নষ্ট না করে বুকের দুধ শুকিয়ে যায় কেন প্রথমে সেই সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিব।

বুকের দুধ শুকিয়ে যায় কেন

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে বুকের দুধ কেন শুকিয়ে যায়। তাই পোষ্টের শুরুতেই এই বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। সাধারনত বুকের দুধ কমে যাওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে
  • স্তন্যদানকারী মা পানি কম পান করা
  • পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
  • বাচ্চাকে সময়মতো না খাওয়ানো
  • বুকের দুধ পান করানোর আগে বাচ্চাকে অন্য কিছু খাওয়ানোর ফলে
  • সন্তান জন্মের পরপরই জন্মনিরোধক ওষুধ সেবন শুরু করা ইত্যাদি।
এছাড়াও আরও অন্যেন্য কারণেও বুকের দুশ শুকিয়ে যায় যেমন অতিরিক্ত পরিশ্রম করার কারণে কিংবা বেশি বেশি মানসিক দুশ্চিন্তার কারণেও বুকের দুধ শুকিয়ে যেতে থাকে। আবার অনেক স্তন্যদানকারী মায়ের শরীরে বিভিন্ন ধরণের ব্যথা হয়ে থাকে।

যার ফলে সেগুলো ব্যবথা নিরাময় করার জন্য অতিরিক্ত ঔষধ সেবন করেন এক্ষেত্রেও বুকের দুধ কমে যেতে থাকে। আশা করছি বুকের দুধ শুকিয়ে যায় কেন তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে জেনে নেই।

বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট

আপনারা অনেকেই বুকের দুধ বৃদ্ধি করার ট্যাবলেটের নাম জানতে চেয়েছেন। তাই পোষ্টের এই অংশে বুকের দুধ বাড়ানোর ট্যাবলেট সম্পর্কে তুলে ধরেছি। যদিও এক্ষেত্রে প্রতিটা মায়ের উচিত ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা। তবে যদি ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে বুকের দুধ বৃদ্ধি না পায় তাহলে ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে।
কারণ মনে রাখবেন আপনি যদি এ সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত এর দুধ বৃদ্ধির জন্য ওষুধ সেবন করে তাহলে আপনার এবং আপনার সন্তান উভয়েরই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।  তাহলে চলুন এবার আমরা বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট এর নাম গুলো জেনে নিই।
  • মমবিট
  • অমিডন
  • ডন এ
  • ডোমাইট
  • ল্যাক টাম
  • ল্যাকটাগন
  • পেরি ডন 
  • ল্যাকটোফ্লাওয়ার
  • Maximilk Capsule 
বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য এই গুলো ট্যাবলেট অনেক ভালো কাজ করে। কিন্তু আমি আবারও বলছি মনে রাখবেন ডাক্তারের এর পরামর্শ ব্যতিত এগুলো ঔষধ সেবন করা যাবে না। তাই আপনাকে ডাক্তার এর দেওয়া নিয়ম মেনে চলতে হবে তিনি যেভাবে বলবে তা মেনে আপনাকে চলতে হবে।

এর পাশাপাশি আপনাকে বুকের দুধ বৃদ্ধির করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবারগুলো খেতে হবে তবে এক্ষেত্রে শাকসবজি ও ফলমূল এর কোনো জুড়ি নেই। আশা করছি বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট এর নাম জানতে পেরেছেন।

বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

বাচ্চা যখন মায়ের দুধ পায় না তখন অনেক কান্নাকাটি করে, তখন মা অনেক টেনশনে পড়ে যায়। যে কি খেলে আমার বাচ্চা ঠিকমত দুধ পাবে। কারণ বাচ্চা হওয়ার পর বাইরের দুধ খাওয়ালে বাচ্চার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ট্যাবলেট গুলো খেলে আশা করা যায় যে বাচ্চা ঠিকমতো বুকের দুধ পাবে।

মমবিট: সাধারনত এই মমবিট ওষুধটি দশ দিন খেতে হয়। এই ট্যাবলেটটি সকালে এবং রাতে খাওয়ার পরে ডাক্তারের দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে।
অমিডন: আর এই অমিডন ট্যাবলেট টি আপনারা দিনে তিনবার করে খাবেন। এই ট্যাবলেট টি আপনারা খাবার খাওয়ার আধাঘন্টা আগে সেবন করবেন। এই অমিডন ট্যাবলেট টি ও আপনাকে ১০ দিন খেতে হবে।

ডন এ: ডনএ এই ওষুধটি মায়ের পেটের যে কোন সমস্যা এবং হজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে এর ফলে মায়েদের রুচি বেড়ে যায়। বাচ্চার মায়েরা যদি খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো করে তাহলে বাচ্চা অনেক ভালো দুধ এমনিতেই পাবে। কারণ বাচ্চা হওয়ার পর অনেক মায়ের খাবার রুচি কমে যায় সেজন্য বাচ্চারা দুধ পায় না।

ডোমাইট: ডোমাইট এই ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের মায়ের দুধ বৃদ্ধি হতে সাহায্য করে। আর এই ট্যাবলেটটি আপনারা ভরা পেটে সেবন করবেন। আর যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন এক্ষেত্রে আপনাদের টেনশনের কোন কারণ থাকবে না এবং কখনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে না।

বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় - বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায়

একটি শিশু জন্মের পরে তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণম মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু অনেক মহিলার বিভিন্ন কারণে বুকের দুধ কমে যায় এতে করে বাচ্চা ঠিকমতো মায়ের বুকের দুধ পায় না এতে করে বাচ্চার স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই আজকের এই আর্টিকেলের এই অংশ থেকে জেনে নিন বুকের দুধ বৃদ্ধির ১০ টি ঘরোয়া উপায়।

বেশি বেশি পানি পান করা: বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে হলে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। আপনি যদি বেশি বেশি পানি পান করেন তাহলে আশা করছি বুকের দুধ অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরণের তরল খাবার রয়েছে সেগুলো খেলেও বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে।

পুষ্টিকর খাবার: পুষ্টিকর খাবার অর্থাৎ বেশি বেশি শাকসবজি জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। যেমন খাবারের মধ্যে যেগুলো বেশি খাবেন সেগুলো হল সকল শাকসবজি, ডিম, রসুন, ওটমিল, দুধ,  মেথি ইত্যাদি এই পুষ্টিকর খাবার গুলো বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। 

বিশ্রাম নেওয়া: বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য আপনাকে এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে কারণ আপনি যদি এই সময় অতিরিক্ত টেনশন এবং কাজের চাপে থাকেন তাহলে এতে করে আপনার বুকের দুধ ভালোভাবে বৃদ্ধি হতে পারবেনা তাই এই সময় অতিরিক্ত কাজ না করে এবং টেনশন না করে বিশ্রাম নিবেন। 
ব্রেস্ট পাম্প করা: বুকের দুধ আরেকটি কার্যকরী উপায় হল আপনি যখন আপনার সন্তানকে দুধ পান করাবেন এবং যখন হয়ে যাবে পান করানো তারপরে ভালোভাবে দুটি বেস্ট পাম্প করাবেন এরকম ভাবে যদি কয়েক দিন করেন তাহলে দেখবেন বুকের দুধ অনেকটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এরকমটা করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

বাচ্চাকে ঘন ঘন দুধ পান করানো: একটি বাচ্চা যখন ঘন ঘন দুধ পান করবে তখন সেই মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই যদি আপনার বুকের দুধের পরিমাণ কম থাকে তাহলে আপনার বাচ্চাকে বেশি বেশি স্তন মুখে দিয়ে পান করাতে থাকবেন। এভাবে কয়েকদিন করলে দেখবেন বুকের দুধ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়ে গেছে।

অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা: বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য অ্যালকোহল জাতীয় কোমল পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকবেন।

বাদাম ও খেজুর: বুকের দুধ জন্য বাদাম এবং খেজুর খেতে পারেন এগুলোর মধ্যে অনেক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যেগুলো আপনার বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি কার্যকরী। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রাকৃতিক শর্করা যা সাধারনত বুকের দুধ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে তাই আপনি যদি খেজুর ও বাদাম নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে বুকের দুধ অনেকটা বৃদ্ধি পাবে।

আপনার সন্তান যখন বুকের দুধ পান করবে তখন একটি দুধ ভালোভাবে পান না করা অবদি অন্যটাই পার করবেন না। যখন একটি দুধ ভালোভাবে পান করা হয়ে যাবে তখন অন্যটিতে পার করবেন এতে বুকের দুধ আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে। 

রসুন খাওয়া: এছাড়াও বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য আপনাকে একটি পাত্রের কয়েক কুয়া রসুন নিয়ে সেগুলো সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে গরম করে নিন তারপরে সেগুলোর মধ্যে হালকা পরিমাণ মধু দিয়ে খেতে পারেন এভাবে নিয়মিত খেতে পারলে তাহলে দেখবেন বুকের দুধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া: সবশেষে বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য  চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। আপনার চিকিৎসক যে নিয়মগুলো বলবে সেগুলো যদি ভালোভাবে মেনে চলতে পারেন তাহলে ইনশাআল্লাহ বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে আপনার সন্তান পর্যাপ্ত পরিমাণ বুকের দুধ পাবে।

কি খেলে বুকের দুধ শুকিয়ে যায় - কি খেলে বুকের দুধ কমে যায়

আপনি যদি বুকের দুধ সঠিকভাবে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন, তাহলে আপনার শিশুর অনেক উন্নতি হবে। মায়ের বুকের দুধ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো খাবার। আপনি যদি সঠিক সময় সঠিক খাবার না খান, তাহলে আপনার বুকের দুধ কমে যেতে পারে। তবে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে মায়ের বুকের দুধ কমে যেতে পারে।
কোকো: কোকার ভিতর থিব্রোমোলাইন নামক কিছু খাদ্য আছে যেগুলো খেলে আপনার হরমোনের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তবে প্রোলাষ্টিন হরমোন নামক কিছু খাদ্য আছে যাকে মূলত বলা হয় প্রক্রিয়া নামক নিষ্করন। আর সেই কারণে স্তন্যদানকারী মায়ের কোকো খাওয়া যাবেনা।

কফি এবং ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়: ক্যাফেইনযুক্ত কিছু চা বা কফি আছে যেগুলোে এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা ক্যাফেইনযুক্ত খাবার খেলে বুকের দুধ কমে যায়।

অ্যালকোহল: স্তন্যদানকারী মায়েদের কখনোই অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। এতে বুকের দুধের পরিমাণ কমে যাবে। তাই যথাসম্ভব আলকোহল থেকে দূরে থাকাই ভালো। সেক্ষেত্রে আপনার অনেক উপকার হবে।

ধূমপান: প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে ধূমপান করা। আপনার ধূমপান আপনার সন্তানের ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই স্তন্যদানকারি মায়ের জন্য ধূমপান ব্যবহার করা একেবারে নিষেধ। 

টমেটো, মরিচ এবং রসুন: এ সময়ে পরিমাণে বেশি টমেটো, মরিচ ও রসুন খাওয়া যাবে না। এসব খাবার খেলে আপনার ডায়রিয়া হতে পারে। আর আপনার ডায়রিয়া মানে আপনার সন্তানেরও ডায়রিয়া হবে।  তাই এই খাবার গুলো স্তন্যদানকারী মায়ের জন্য পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত।

এছাড়াও এগুলো খাবার অধিক পরিমাণে খেলে সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যার ফলে দেখা যাবে যে সন্তান দুধ পাবে না এবং তার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই এসব খাবার পরিমানে বেশি খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলতে হবে।

অতিরিক্ত তেল বা চর্বিযুক্ত খাবার: অতিরিক্ত তেল বা চর্বিযুক্ত খাবার আপনার জন্য  এবং আপনার বাচ্চার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হুতে পারে। কিংবা আপনার সন্তানের জন্য এটি অনেক বড় ক্ষতি  হতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণে মায়ের দেহে দুধ ঘাড়তি পড়তে পারে। আর সেই কারণে গর্ভবতী নারীদের জন্য বুকের দুধ উৎপাদনের জন্য আপনাকে অতিরিক্ত তেল বা চর্বিযুক্ত জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।

কি খেলে বুকের দুধ আসে

প্রতিটা মায়েদের বাচ্চা হবার পর সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। বাচ্চা হবার আগে যেভাবে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া-দাওয়া করত সেভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। আগের চাইতে ও বেশি খাওয়া-দাওয়া এবং ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে।

আর ঠিক মত খাবার না খেলে বাচ্চা দুধ পাবে না। সেজন্য বাচ্চা হওয়ার পর ভিটামিন এবং পুষ্টিকর খাবারগুলো খেতে হবে। যে খাবারগুলো খেলে বুকের দুধ বৃদ্ধি হবে, এবং দুধ ভালোমতো বাচ্চা খেতে পাবে। বাচ্চা হওয়ার পর যদি পুষ্টিকর খাবারের অভাব হয় তাহলে বাচ্চা দুধ পাবে না এবং বাচ্চাও অপুষ্টিতে ভুগবে।

আর প্রতিটা সন্তানের মায়েদের সময়মতো নিয়ম মেনে খাবার খেত হবে, এতে বুকের দুধ বৃদ্ধি হতে সাহায্য হবে। অনেক মায়েরা আছেন যারা সকালের খাবার দুপুরে খায় আবার দুপুরের খাবার রাতে খায়। এভাবে অনিয়ম করলে কিন্তু সেক্ষেত্রে বাচ্চা দুধ পাবে না। মায়েদের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য কিছু পুষ্টিকর খাবারের তালিকা জানাবো।
  • ডিম
  • দুধ
  • কলিজা
  • কিসমিস
  • মৌরি
  • খেজুর
  • মধু
  • গরম মসলা
  • লাল শাক
  • মাখন
  • কালোজিরা
  • ডাবের পানি
  • শাক-সবজি
  • ছোট মুরগির ঝোল
  • বড় মাছের মাথা
  • নদী এবং বিলের মাছ ইত্যাদি।

কোন ফল খেলে বুকের দুধ বাড়ে

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে কোন ফল খেলে বুকের দুধ বাড়ে এজন্য পোষ্টের এই অংশে এই বিষয়ে তুঅলে ধরেছি। যেসব ফল খেলে সাধারনত বুকের দুধ বাড়ে তা হলো-
  • কলা
  • কাচা পেপে
  • পাকা পেপে
  • অ্যাভোকাডো ইত্যাদি।
আপনি চাইলে এইগুলো ফল খেতে পারেন। এছাড়াও আরও বিভিন্ন রকমের ফল আছে যেগুলো ফল খেলে বুকের দুধ বাড়ে। তবে স্বাভাবিক পর্যায়ে এইগুলা ফলই খেতে হয়। আশা করছি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি জানতে পেরেছেন। এবার চলুন বুকের দুধ বৃদ্ধির দোয়া কি তা জেনে নেই।

বুকের দুধ বৃদ্ধির দোয়া

আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পবিত্র আল কোরআনে অনেক সূরা এবং দোয়া রয়েছে যেগুলো সূরার মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ ভালো করা যায়। অনেক মায়ের বাচ্চাকে পান করানোর জন্য বুকের প্রযাপ্ত পরিমাণে দুধ থাকেনা কিংবা কমে যায়। 

তাই মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য সূরা ফাতিহা ও ইয়া মাতিনু এই দোয়াটি অর্থ্যাৎ আল্লাহর একটি গুনবাচক নাম বলে একটি গ্লাসের পানিতে ফু দিবেন। তারপর সেগুলো পানি দিয়ে মায়ের স্তন ধৌত করবেন এবং বাকি পানিগুলো পান করে নিবেন তাহলে ইনশাআল্লাহ দেখবেন আল্লাহর রহমতে বুকের দুধ বৃদ্ধি পাবে।

লেখকের শেষ মন্তব্যঃ বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট

প্রিয় পাঠক আমরা ইতিমধ্যে বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট ও বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি, আপনারা এই বিষয়ে ভালোমতো জেনে নিতে পেরেছেন। আপনি যদি এই পোষ্টের কোনো অংশ বুঝেতে সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই পোষ্টের নিচে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। তাহলে আমরা সেই অনুযায়ী আপনাকে তথ্য জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

বুকের দুধ বৃদ্ধির ট্যাবলেট এবং বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনার বন্ধু কিংবা প্রিয়জনদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। এতে তারাও এই সম্পর্কে বিস্তারিত যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি সেবা ও সমকালীন জরুরি তথ্য সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url