নরমেনস ট্যাবলেট খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়? জেনে নিন

আপনি কি নরমেনস ট্যাবলেট খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়? সেই সম্পর্কে বিস্তারিত যাবতীয় তথ্য জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের পোষ্টটি আপনার জন্য। কেননা এই পোষ্টটিতে এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সাজানোর চেষ্টা করেছি। এই নরমেনস ট্যাবলেট সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। তবেই আপনি নরমেনস ট্যাবলেট সম্পর্কে অজানা তথ্যগুলো জানতে সক্ষম হবেন।
নরমেনস ট্যাবলেট খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়

সম্মানিত পাঠক, আপনি যদি আপনার কিছুক্ষন সময় নষ্ট করে আমাদের পোষ্টের শুরু থেকে একেবারে শেষ পর্যন্ত থাকেন, তাহলে নরমেনস ট্যাবলেট খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়? এই সম্পর্কে জেনে নেওয়ার পাশাপাশি নরমেন্স ট্যাবলেট কি জন্ম নিয়ন্ত্রণ করে, নরমেনস ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা গুলোও জানতে পারবেন। তাই অবহেলা না করে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

উপস্থাপনা - normens tablet

জীবনে চলার পথে আমাদেরকে প্রতিটা বিষয়ে জ্ঞান রাখতে হবে। কারন কখন কোন জিনিসের প্রয়োজন পড়বে কেউ বলতে পারবে না। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে এই নরমেনস ট্যাবলেট সম্পর্কেও একটু ধারণা নিয়ে রাখেন। নরমেনস ওষুধটি একটি নরইথিস্টেরন এসিট্যাট (Norethisterone Acetate) জেনেরিক ঔষধ যা এক ধরনের স্বল্প মেয়াদী নিয়মিত পিল অর্থাৎ ডাক্তাররা এই ওষুধ পিরিয়ডের জটিলতার কারণে সেবন করার নির্দেশনা দিয়ে থাকে।

নরমেনস ট্যাবলেট হচ্ছে মেয়েদের জন্য তাদের হরমোনের রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি। এখানে রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বলছে মেয়েদের পিরিয়ড বা মাসিক জনিত যেগুলো সমস্যা রয়েছে সেগুলোকে বোঝায়। আবার অনেক মেয়ে রয়েছে যারা পিরিয়ড হওয়ার পর্যাপ্ত বয়স হয়েছে কিন্তু তা সত্তেও পিরিয়ড হয় না তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি ডাক্তাররা নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা নরমেনস ট্যাবলেট খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়? সেই সম্পর্কে জানেন না। চলুন তাহলে সেই সম্পর্কে জেনে নেই।

নরমেনস ট্যাবলেট খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়?

নরমেনস ট্যাবলেট খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়? সেই সম্পর্কে নীচে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো।
মহিলাদের অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করার জন্য এই ট্যাবলেট সেবন করা হয়। তবে এক্ষেত্রে একটা প্রশ্ন থেকে যায় সেটি হচ্ছে- নরমেনস ট্যাবলেট সেবন করার ঠিক কতদিন পর মাসিক শুরু হয়? এ বিষয়ে অধিকাংশ নারীদেরই অজানা।

নরমেনস ট্যাবলেট খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয়? সেটি একান্তই নির্ভর করবে সেবনকারীর শারীরিক অবস্থা ও ট্যাবলেটের ধরনের উপর। আসুন আমরা এই ওষুধের বিভিন্ন ধরণ ও তাদের কার্যপ্রণালী গুলো জেনে নেই।
কিছু নারীর ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেট খাওয়ার পর পিরিয়ড শুরু হতে সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে যেমন- 

গর্ভাবস্থার সময়কাল: গর্ভকালীন সময় যত অধিক হবে, মাসিক হতে তত অধিক সময় লাগতে পারে।
শারীরিক অবস্থা: যদি কোনো নারীর অন্য কোন স্বাস্থ্য সমস্যা বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা থাকে তাহলে তাদের ক্ষেত্রে মাসিক হতে বেশি সময় লাগতে পারে।

ওষুধের কার্যকারিতা: কিছু কিছু ক্ষেত্রে বা কারো কারো ক্ষেত্রে এই  নরমেনস ওষুধটি বেশি কার্যকর না-ও হতে পারে যার ফলে মাসিক হতেও বেশি সময় লাগতে পারে। এই ওষুধ ২১-২২ দিন সেবনের পর যদি পরবর্তী ৭-৮ দিনের বেশি সময় ধরে পিরিয়ড না হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।

এ ধরণের সমস্যা মোকাবেলা করার জন্য নরমেনস ট্যাবলেত মূলত ২ ধরনের সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকে। প্রথমটি নরমেনস-১০ এবং দ্বিতীয়টি নরমেনস-২০। আসুন আমরা এই দুই রকম নরমেনস ওষুধের কার্যকারিতা ও ব্যবহার জেনে নেই।

নরমেনস-১০: এই ট্যাবলেটে মিফেপ্রিস্টোন এবং মিসোপ্রোস্টল নামক দুটি ওষু্ধের মিশ্রণের সমন্বয়ে গঠিত। মিফেপ্রিস্টোন গর্ভধারণকারী টিস্যুকে নরম বা পাতলা করে এবং অপরদিকে মিসোপ্রোস্টল গর্ভাশয়ের সংকোচন ঘটিয়ে টিস্যু গুলোকে বাইরে বের করে দিতে সহায়তা করে থাকে। এই ট্যাবলেট গর্ভাবস্থার ৯ সপ্তাহ বা ৩ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। এই ওষুধ সেবনের পর ৪৮-৭২ ঘন্টার মধ্যে পিরিয়ড শুরু হয় এবং ৭-১৪ দিন স্থায়ী হতে পারে।

নরমেনস-২০: এই ওষুধে কেবলমাত্র মিসোপ্রোস্টল থাকে। আর এই ওষুধ গর্ভাবস্থার ৯ সপ্তাহ বা ৩ মাস অবদি ব্যবহার করা যায়। এই ওষুধ সেবনের পর ৩-৬ ঘন্টার মধ্যে পিরিয়ড শুরু হয় এবং ৭-১৪ দিন স্থায়ী হয়ে থাকে।

নরমেন্স ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মহিলারা নরমেনস ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন। আপনি যদি নর্মেন্স ট্যাবলেট সেবনের সঠিক নিয়ম না জানেন তাহলে বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। তাই এই নরমাল ট্যাবলেট খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। আসুন, তাহলে নরমেনস ট্যাবলেট সেবনের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।
  • ত্রুটিপূর্ণ জরায়ুর রক্তপাত, হেমোরেজিয়া, মেট্রোপেথিয়ার ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেটের ১ টি করে দিনে ৩ বার খেতে হবে। এভাবে মোট ১০ দিন এই ট্যাবলেট সেবন করতে হবে।
  • ত্রুটিপূর্ণ রক্তপাত না হওয়ার ক্ষেত্রে কিংবা যদি ডিম্বাশয়ের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে কার্যাবলীর কোন প্রকারের লক্ষণ দেখা না দেয় সেক্ষেত্রে নরমেনস ট্যাবলেট ১ টি করে দিনে ৩ বার মোট ১০ দিন সেবন করতে হবে।
  • পিরিয়ড চক্রের ১৯-২৬ তম দিনের মধ্যে যদি কোনো নারীর পিরিয়ড না হয় সেক্ষেত্রে এই ওষুধ ১ টি করে দিনে ২বার করে খেতে হয়।
  • যাদের অতিরিক্ত পিরিয়ড হয় তাদের এমন অবস্থা স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে, সম্ভাব্য পিরিয়ড শুরু হওয়ার ৩ দিন আগে নরমেনস ট্যাবলেট ১ টি করে দিনে ৩ বার খেতে হবে।
  • অতিমাত্রায় পিরিয়ডের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঋতুস্রাব স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে মাসিক চক্রের ১৯-২৬ তম দিন পর্যন্ত নরমেনস ট্যাবলেট ১ টি করে দিনে ২-৩ বার খেতে হবে ইত্যাদি।
মূলত এই নরমেনস ট্যাবলেটটি নানান কারণে সেবন করা হয়। তবে কারণ ভেদে এই ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম-ও কিন্তু অবশ্যই ভিন্ন হবে। তাই এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এই ওষুধ সেবনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। আশা করছি, নরমেন্স ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম জানতে পেরেছেন। এবার আসুন নরমেনস ট্যাবলেট এর উপকারিতাগুলো জেনে নেই।

নরমেনস ট্যাবলেট এর উপকারিতা

নরমেনস ট্যাবলেট এর বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে যেগুলো আমাদের জেনে রাখাটা জরুরি। নরমেনস ট্যাবলেট এর উপকারিতাগুল নিচে আলোচনা করা হল-
  • যেসব নারীদের ঋতুস্রাব জনিত রয়েছে সেসব নারীদের ঋতুস্রাব জনিত সমস্যা দূর করে
  • যেসব নারীদের পিরিয়ড অনিয়মিত তাদের পিরিয়ড নিয়মিত করতে পারে
  • পিরিয়ডের সময় অতিমাত্রা রক্তপাত দেখা দিলে সেটি বন্ধ করতে পারে
  • এই ওষুধ ব্যবহারে নিজেই পিরিয়ডের সময় নির্ধারণ করতে পারবেন
  • ডিসফাংশনাল ইউটেরাইন ব্লিডিং (Dysfunctional Uterine Bleeding) বন্ধ করতে পারে
  • মহিলাদের জরায়ুতে রক্তপাতের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে ইত্যাদি।
উপরোক্ত উপকারিতা ছাড়াও এই ওষুধের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেহেতু এই ওষুধ নানান রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে সেহেতু আপনারা বিভিন্ন রোগের জন্য বিভিন্ন উপকারিতা পেতে পারেন। আর যেকোন ধরণের ওষুধ সেবন করার আগে অবশ্যই একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন এবং তার দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী ওষুধ সেবন করবেন।

নরমেন্স ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রতিটা ওষুধের উপকারিতা থাকার পাশাপাশি সামান্য পরিমাণ হলেও সেই ওষুধের সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। নরমেনস ট্যাবলেট অবশ্যই তার বিপরীত নয়। নরমেনস ট্যাবলেট  সেবনের ফলে সাধারণ যেগুলো প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে সেগুলো হল-
  • তলপেট ব্যথা
  • মাথা ব্যথা করা
  • ক্লান্তি ভাব
  • জ্বর জ্বর ভাব
  • বমি হবা বমি বমি ভাব
  • ডায়রিয়া হওয়া
  • মাথা ঘোরানো
  • পেট ফুলে যাওয়া
  • কোষ্ঠকাঠিন্য
  • হাই প্রেসার
  • যো’নির চুলকানি
  • দুর্বলতা অনুভব করা
  • ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি।
নরমেনস ট্যাবলেট অতিমাত্রায় বা নিয়ম না মেনে যেগুলো গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে সেগুলো হচ্ছে- 
  • প্রচুর পরিমাণ রক্তপাত হওয়া
  • তলপেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হওয়া
  • জ্বর (১০০.৪°F বা তার বেশি)
  • শরীরের স্বাভাবিক শক্তি হারিয়ে ফেলা
  • প্রচন্ড মাথা ঘোরানো
  • শ্বাসকষ্ট হওয়া
  • বুকে ব্যথা অনুভব করা
  • হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
  • অ্যালার্জির বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় (যেমন, ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা) ইত্যাদি।
আপনি যদি নরমেনস ট্যাবলেট সেবনের সময় উপরোক্ত কোন জটিল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করেন তাহলে অবশ্যই  যত দ্রুত সম্ভব এর অবিলম্বে একজন নিবন্ধিত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

নরমেনস ট্যাবলেট সেবনের সতর্কতা

নরমেনস ট্যাবলেট সেবনের বেশ কিছু গুরুতর সতর্কতা রয়েছে যেগুলো সতর্কতা গুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে যেমন-
  • আপনার যদি গর্ভাবস্থার বাইরে রক্তপাত হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
  • আপনার যদি গর্ভাবস্থা ৯ সপ্তাহের বেশি হয়, তাহলে এই ট্যাবলেট সেবন করা উচিত নয়।
  • আপনার যদি হারমোনের ভারসাম্যহীনতা বা অন্য কোন ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তাহলে এই ট্যাবলেট সেবনের করার আগে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
  • নরমেনস ট্যাবলেট গর্ভকালীন সময়ে সেবন করা উচিত নয়।
  • সবচেয়ে বড় ও জরুরী সতর্কতা হচ্ছে এই ওষুধ শুধুমাত্র একজন নিবন্ধিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা ইত্যাদি।

নরমেন্স ট্যাবলেট কি জন্ম নিয়ন্ত্রণ করে?

বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ নারীদের একটি কমন প্রশ্ন সেটি হচ্ছে নরমেন্স কি জন্ম নিয়ন্ত্রণ করে? এই পাঠে আমরা এই প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিব। নরমেন্স ট্যাবলেট অনেক ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয়ে থাকে। এই নরমেনস ট্যাবলেট হচ্ছে দুটি ওষুধের সংমিশ্রণ যথা মিফেপ্রিস্টোন এবং মিসোপ্রোস্টল।

এই দুটি উপাদান মূলত গর্ভাবস্থায় গর্ভপাত ঘটাতে ব্যবহৃত হয়। এটি গর্ভাবস্থার ৯ সপ্তাহ বা ৩ মাস  পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে। সুতরাং নরমেন্স জন্ম নিয়ন্ত্রণ এর জন্য একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। এই ওষুধ গর্ভাবস্থার ঝুঁকি প্রায় ৯২ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। আশা করছি নরমেন্স ট্যাবলেট কি জন্ম নিয়ন্ত্রণ করে কি না সেটি জানতে পেরেছেন।

নরমেন্স ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হওয়া যায়

আমাদের মাঝে অধিকাংশ নারীরা জানতে চেয়ে থাকেন যে নরমেন্স ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হওয়া যায়? যেহেতু নরমেন্স হরমোন জাতীয় ওষুধ এবং এটি পিরিয়ডের বিভিন্ন জটিল সমস্যা থেকে রেহায় দেয় তাই সেক্ষেত্রে এই ওষুধটি সেবনে অনেকের ওজন বাড়তে পারে। আবার যাদের আগে থেকেই ওজন বেশি তাদের আরও বেশি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তাই এই নরমেন্স ট্যাবলেট সেবন করার আগে একজন নিবন্ধিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি।

নরমেনস ট্যাবলেট খেলে কি গর্ভপাত হয়

গর্ভকালীন সময়ে প্রতিটা পদক্ষেপ অনেক সচেতনতার সাথে নিতে হয়। বিশেষ করে ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে তো সর্বোপরি সচেতন থাকতেই হবে। গর্ভকালীন সময়ে নরমেন্স ট্যাবলেট এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এই ওষুধ হরমোন জাতীয় ওষুধ যা পিরিয়ডের ক্ষেত্রে বা অনিয়মিত পিরিয়ডের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। কোন নারী যদি গর্ভকালীন সময়ে নরমেনস ট্যাবলেট  সেবন করে ফেলেন তাহলে তার গর্ভস্থ শিশুর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

এমনকি এই ওষুধ এতটাই জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে যার ফলে গর্ভের শিশুর মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। নরমেন্স ট্যাবলেটটি গর্ভাবস্থায় নারীদের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই  একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত এই ওষুধ কোনভাবেই সেবন করা উচিত নয়।

তবে উল্লেখ্য বিষয় হচ্ছে নরমেনস ট্যাবলেট গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নয়। কারণ আমরা জানি নরমাল ট্যাবলেট সাধারণত যেসব মহিলাদের পিরিয়ড অনিয়মিত অর্থাৎ পিরিয়ড চক্র স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। সুতরাং গর্ভাবস্থায় এই ওষুধ সেবন করার কোন প্রশ্নই জাগে না। আশা করছি এই বিষয়ে ক্লিয়ার হতে পেরেছেন।

নরমেন্স খেলে কি মাসিক বন্ধ হয়

এ পর্যায়ে প্রশ্ন হচ্ছে নরমেন্স খেলে কি মাসিক বন্ধ হয়? না, নরমেন্স ট্যাবলেট সেবনে মাসিক বন্ধ হয় না। কারণ এই ওষুধ যেসব নারীদের পিরিয়ড অনিয়মিত তাদের পিরিয়ড নিয়মিত করার লক্ষ্যে ব্যবহৃত হয়। আবার এই ট্যাবলেট গর্ভাবস্থায় গর্ভপাত ঘটাতেও ব্যবহার হয়ে থাকে।

এটি মূলত গর্ভধারণকারী টিস্যুকে নরম বা পাতলা করে যার ফলে গর্ভাশয়ের মধ্যে সংকোচন ঘটিয়ে টিস্যু বাইরে বের করে দেয়। এই ওষুধ ব্যবহার করার পর পিরিয়ড চক্র নিয়মিত হতে বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, এই ওষুধ ব্যবহারের পর মাসিক চক্রে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যেগুলো পরবর্তীতে অনেক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

এমত অবস্থায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো যদি তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে এ বিষয়ে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কেননা, মনে রাখবেন যে নরমেনস হচ্ছে একটি প্রেসক্রিপশনের ওষুধ। তাই এটি সেবনের আগে অবশ্যই একজন নিবন্ধিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত।

লেখকের শেষ মন্তব্য - normens tablet bangla

আমরা ইতিমধ্যে নরমেনস ট্যাবলেট খাওয়ার কতদিন পর মাসিক হয় এবং এই ট্যাবলেট সম্পর্কিত আরও গুরুত্বপূর্ণ টপিকে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি। আশা করছি, আপনারা এই বিষয়ে জেনে উপকৃত হতে পেরেছেন। আপনি যদি এই সম্পূর্ণ পোষ্টের কোন অংশ বুঝতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্স জানাবেন। তাহলে সে অনুযায়ী আমরা সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

নরমেনস ট্যাবলেট এই গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী বিষয় সম্পর্কে লেখা আমার আজকের পোষ্টটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন। এতে অন্যরাও এই ট্যাবলেট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তথ্যবহুল বিভিন্ন ওষুধ সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url